২ বছর বয়স থেকেই মূর্তি গড়ছে রামকৃষ্ণ স্কুলের অঙ্কুশ

২ বছর বয়স থেকেই মূর্তি গড়ছে রামকৃষ্ণ স্কুলের অঙ্কুশ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

২ বছর বয়স থেকেই মূর্তি গড়ছে রামকৃষ্ণ স্কুলের অঙ্কুশ। এ যেন সাক্ষাৎ এক বিরল প্রতিভা। বয়সে ছোট হলেও পাকা মৃৎশিল্পীদের মতই সে খড়ে দড়ি পেঁচিয়ে মূর্তির রূপ দেওয়া থেকে মাটি তৈরি করে দিয়ে চলেছে নানা দেবদেবীর মূর্তি। আর এতেই নজর কেড়েছে রায়গঞ্জ ইন্দিরা কলোনীর বাসিন্দা তথা ১২ বছরের খুদে পড়ুয়া অঙ্কুশ সরকার। অঙ্কুশের এই প্রতিভা ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে পাড়া পড়শি থেকে শিল্প প্রেমী সাধারণ মানুষের।

 

জানা গেছে, কুনাল সরকার ও মিঠু সরকারের একমাত্র সন্তান হল অঙ্কুশ সরকার। সে রায়গঞ্জ শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যাভবনের সপ্তম শ্রেণীতে পাঠরত। ইন্দিরা কলোনীর ছোট্ট ঘরে বসবাস অঙ্কুশদের। সেখানে মূর্তি গড়ার কাজ করতে অসুবিধা জনক। তাই চাকু, দা, ব্লেড, দড়ি, সুতো, মাটি, হ্যাসকো সব নিয়ে তার ঠাঁই হয়েছে বাড়ির ছাদের এক কোণে। এদিন সকালে অঙ্কুশদের বাড়ির ছাদে গিয়ে দেখা গেল, সামনেই সরস্বতী পূজার প্রস্তুতি শুরু করেছে অঙ্কুশ। ৫/৬ টি ছোট মূর্তি এবং ৩/৪টি বড় সরস্বতী প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু করেছে সে। এর পর আমাদের সাথে কথা বলতে গিয়ে অঙ্কুশ বলে, নিজেই ইউটিউব দেখে প্রতিমা গড়ার কাজ শিখেছি। প্রথম প্রথম নিজের শখের জন্য বানালেও, লোকে আমার হাতের কাজ ভীষণ পছন্দ করছেন।

আরও পড়ুন – বিশ্বকাপ ফাইনালে দীপিকার ট্রফি উন্মোচনের কারণ

তাই এখন প্রতিমা গড়ার অর্ডার আসছে। দাম দিয়ে কিনে নেন বহু মানুষ। এতেই প্রতিমা গড়ার আরও উৎসাহ পাই। কালী, সরস্বতী, শিব, দূর্গা অনায়াসে বানিয়ে ফেলতে পারা অঙ্কুশ জানায়, খেলাধুলা করতে ভালো লাগে না। আমার এই মূর্তি গড়ার কেই ভালো লাগে। অঙ্কুশের মা মিঠু দেবী বাড়ির সামনেই ছোট্ট একটি মুদীখানার দোকান চালান। এদিন তিনি যথারীতি অনুযোগ করে বলেন, আমাদের ছেলে খেলতে যেতে চায় না। ও সারাদিন মূর্তি তৈরি করতেই ভালোবাসে। ২ বছর বয়স থেকে মাটি দিয়ে মূর্তি গড়ার কাজ করে।

 

ওর বানানো মূর্তি গুলো পাড়া পড়শি, আত্মীয়রা প্রশংসা করেন। এতে আমাদের খুব ভালো লাগে। তিনি জানান, রাজ্যে সরকারি চাকুরির অভাব রয়েছে। তাই আগামী দিনে চাকরির চিন্তা দূরে সরিয়ে রেখে হাতের কাজ শিখতে পরামর্শ দিয়েছেন একাধিক প্রিয়জন। আর তাই আগামী দিনে বানিজ্যিক ভাবে প্রতিমা তৈরির জন্য এখন থেকেই নেমে পড়েছে অঙ্কুশ।

 

প্রতিমা বিক্রি করা অর্থ কি করে অঙ্কুশ, জানতে চাইলে অঙ্কুশের মা মিঠু দেবী জানান, সকাল বিকেল পড়াশোনার বাইরে ওর বানানো প্রতিমা বিক্রির টাকা আমার হাতে দেয়। সেই টাকা ওর একাউন্টে রেখে দিই। আগামী দিনে বড় হলে, ওই টাকা ওর কাজে লাগবে। অঙ্কুশের এমন বিরল প্রতিভার প্রশংসা করেছেন রায়গঞ্জের বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী ভানু পাল। তিনি বলেন, সুশিক্ষিত মৃৎশিল্পী হতে পারলে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। ওর বিরল প্রতিভার প্রতি কুর্নিশ রইলো।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top