দেশ – বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে তাদের নথিপত্র যাচাই করতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ৩০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে মন্ত্রক।নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিটি রাজ্যকে তাদের আইনি ক্ষমতা ব্যবহার করে সন্দেহভাজন অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করতে হবে এবং যাচাইয়ের পরে নির্বাসনের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।এছাড়া, জেলা স্তরে যথেষ্ট সংখ্যক আটক কেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেখানে সন্দেহভাজন অভিবাসীদের নির্বাসন না হওয়া পর্যন্ত রাখা হবে। এই কেন্দ্রে তাঁদের বায়োমেট্রিক তথ্যও সংগ্রহ করা হবে যাতে ভবিষ্যতে জালিয়াতি ঠেকানো যায়।
সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াতে বিএসএফ এবং আসাম রাইফেলসকেও এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হয়েছে।যদি কোনও ব্যক্তি নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করেন, তাহলে তাঁর পরিচয় ও পটভূমি যাচাইয়ের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের উপর বর্তাবে।উল্লেখযোগ্যভাবে, কেন্দ্র ইতিমধ্যেই অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে এবং ফেরত পাঠাতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। রাজস্থানে ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এখনও পর্যন্ত ১,০০০ জনেরও বেশি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়েছে। গুজরাটেও একই রকম পরিমাণে গ্রেপ্তার হয়েছে।হরিয়ানার নুহ, ঝাজ্জর এবং হানসি জেলার মোট ২৩৭ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলায় ৩০০ জনের বেশি এবং মুম্বাইয়ে ১ জানুয়ারি থেকে ৬৫০ জনের বেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী গ্রেপ্তার হয়েছে।
