৪১নং জাতীয় সড়কের বেহাল দশা,আবেদন বিক্ষোভ করেও হচ্ছেনা কাজ

৪১নং জাতীয় সড়কের বেহাল দশা,আবেদন বিক্ষোভ করেও হচ্ছেনা কাজ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নিজস্ব সংবাদদাতা,১৪ ডিসেম্বর ২০২০পূর্ব মেদিনীপুর:পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার ব্লকের প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা সড়ক রাস্তা বেহাল দশা। ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের খঞ্চি থেকে ঠেকুয়া বাজার পর্যন্ত সাত কিলোমিটার রাস্তা পুরো রাস্তা বেহাল বিশেষ করে ভ্যান স্ট্যান্ড নামক জায়গায় এতটাই খারাপ যে দিনের বেলায় টোটো ট্রেকার উল্টে যায়।

এমনকি একবার মারুতি উল্টে গিয়েছিল।এই বেহাল রাস্তার কারণে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।এই রাস্তা দিয়ে রোজকার ১৫০ টোটো যাতায়াত করেন। ১৫টি ট্রেকার ঠেকুয়া বাজার থেকে নন্দকুমার পর্যন্ত এবং কিছু ট্রেকার তমলুক পর্যন্ত যাতায়াত করে । কুকড়াহাটি, পাঁশকুড়া, গেঁওখালি রোডে চারটি বাস নিয়মিত যাতায়াত করে। রাস্তা বেহাল এর দরুন বর্তমানে বেশ কিছু ট্রেকার টোটো বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। টোটো চালক চোখের জলে বলেন এত টোটো চলে প্যাসেঞ্জার এমনিতেই কম তার উপরে রাস্তা খারাপের জন্য দু’দিন অন্তর যানবাহনে নানান সমস্যা দেখা যায়।যাতায়াত করা যাচ্ছে না প্রশাসন থেকে পঞ্চায়েত প্রধান বহুবার জানিয়ে কোনো কাজ হয়নি। সাওড়াবেরিয়া জালপাই ১ গ্রাম বাসিন্দা রামকৃষ্ণ দাস বলেন আমি নিজে নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিনোনাথ দাসকে বহুবার জানিয়েছি শুধু তাই নয় আমি ১৫০ লোক নিয়ে গিয়ে বিডিও অফিসে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছিলাম তাদের কথা দিয়ে কথা রাখেনি। প্রত্যহ যাতায়াত করেন রাজু জানা তিনি বলেন আম্ফান ঝড়ের থেকে এবং বারে বারে বর্ষার সেই সঙ্গে এই রাস্তার উপর দিয়ে রাতের অন্ধকারে ভারী যানবাহন ঢুকছে বহুবার জানিয়েছি এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানকে কোন কাজ হয়নি। আমরা চাই দ্রুত এই রাস্তা দিয়ে কাজ হোক।এলাকাবাসী বলেন এই রাস্তা দিয়ে ১ নম্বর ২ নম্বর ৩ নম্বর ৪ নম্বর ১১ নম্বর ১২ নম্বর এই সমস্ত অঞ্চলের লোক যাতায়াত করেন এবং এই রাস্তার পাশেই রয়েছে একটি গ্রামীণ হাসপাতাল হঠাৎ করে কেউ অসুস্থ হয়ে হাসপাতলে নিয়ে যাওয়াই বিপদ। যেকোনো মুহুর্তে রাস্তার ধাক্কাতেই এমনিতেই মারা যেতে পারে।চক শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনোজ কুমার আদক বলেন রাস্তাটি পিডব্লিউডির আমরা জানিয়েছি প্রশাসনিকভাবে তবে আবার বলবো যাতে রাস্তা দিয়ে দ্রুত কাজ হয়।টোটো চালক একাদশী মাইতি দুঃখের সহিত এপ্রসঙ্গে বলেন আমাদের উপায় নেই তাই এই রাস্তার উপরেই আমাদের গাড়ি চালাতে হয়। দুদিন ছাড়া টায়ার এবং অন্যান্য জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কোনরকমে সংসার চালাই। তাই আমরা এই কাজটি করে থাকি তবে রাস্তা অত্যন্ত বেহাল যাতে না হয় সেই জন্য আবেদন জানাচ্ছি।ধান্যঘর গ্রামবাসী রবীন্দ্রনাথ মহাবতি তিনি বলেন রাস্তা তৈরি কনস্ট্রাকশন একদম ঠিকমত কাজ হয়নি। উপর উপর করে কাজ হয়ে গিয়েছে নিচে ঠিকমতো মাটি না বসায় দুদিন ছাড়া ঝড়-বৃষ্টিতে রাস্তা খারাপ হয়ে যাচ্ছে তবে আশা করবো দুটো রাস্তার কাজ হবে। গ্রামবাসী শেখ মফিজুল সা বলেন এই জায়গায় বহু গাড়ি টোটো মেশিন ভ্যান মারুতি উল্টে পুকুরে না চলায় পড়েছে কিছুদিনের মধ্যে ছয়-সাতটি টোটো গাড়ি পড়েছে এবং এক ভদ্রমহিলা পড়ে গিয়ে তার পা ভেঙে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গতকাল এক ব্যক্তি এই পুকুরে পড়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল তাকে আমরা তুলে উদ্ধার করেছি।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top