মুর্শিদাবাদ – ভরতপুরে ফের বিতর্কের ঝড় তুললেন তৃণমূল কাউন্সিলর ও বিধায়ক হুমায়ুন কবির। বুধবার ভরতপুরে দলের ওয়াররুমের উদ্বোধন শেষে এসআইআর সংক্রান্ত এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন— “আমরা কাউকে আগে আঙুল দেখাবো না। কিন্তু কেউ আমাদের উপরে এক আঙুল তুললে আমরা দুই আঙুল তুলব। ইট ছুড়লে পাথরে জবাব দেব।”
ভরতপুর পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন সভাস্থলে হুমায়ুন আরও অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে টাকার বিনিময়ে সালার ও ভরতপুরের ওসিকে ব্যবহার করে গণনা কেন্দ্রে অরাজকতা সৃষ্টি করে যাদের করে নির্বাচিত করা হয়েছিল, তারা আজও দলের সঙ্গে যোগযোগ রাখেনি এবং শুধু জমি লুটে নিচ্ছে— “দুঃখের বিষয় আজ পর্যন্ত সেই সব মেম্বার প্রধানরা আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ নেই। তারা শুধু জমি লুট করতেই ব্যস্ত।” তিনি জানান, এসব বিষয়ে আর সহ্য করবেন না।
কান্দির বিধায়ক প্রসঙ্গে দলের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারের ঘিরে ক্ষোভ উগরে দিয়ে হুমায়ুন বলেন, “নেতাগিরি করলে এবং ভোটের বেলায় তৃণমূলে জোড়া ফুলে তিন নম্বর থাকবে—কান্দিতে ৩ নম্বর, বহরমপুর পৌরসভায় তিন নম্বর—তারা আমাদের উপর অর্ডার দিলেই আমরা তা মেনে নেব না।” এরপর দল যদি আপস না করে, তাতে কড়া সতর্কতা দিয়ে হুমায়ুন সময়সীমা দেন— “প্রকাশ্যে বলছি, দল যদি আমাদের মতো অযোগ্য ব্যক্তির দরকার মনে করে না, তবে তারা বলে দিলেই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা মুর্শিদাবাদ জেলায় জেহাদ করব; রাজনীতির রং বদলে দেব।”
সভায় নেতার এই ভাষা ও হুমকি রাজনীতিক মহলে ইতিমধ্যেই আলোচ্য। ভরতপুরে দলের অভ্যন্তরীণ অশান্তি ও নেতা-নেত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গত কয়েক মাসে জেলা ও ব্লক স্তরে ক্ষমতা ও ভূখণ্ড দখলকে কেন্দ্র করে সংঘাতের ঘটনা বাড়ায় সমর্থক-নেতা পর্যায়েও বিবাদ তীব্র হতে দেখা গেছে— এবং হুমায়ুনের এই ঘোষণা সেটা আরও ভাসিয়ে তুলছে। পুলিশি বা দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।



















