শাসক দলের মনোনয়ন পর্ব দেখভাল করবেন তৃণমূলের ১৩ রথী-মহারথী,পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) এখনও প্রায় এক মাসের কাছাকাছি সময় বাকি। সবে মনোনয়ন পর্ব (Nomination for Election) চলছে। আর তাতেই জেলায় জেলায় অশান্তি ও গোলমালের অভিযোগ। আর এরই মধ্যে শাসক দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রক্রিয়া দেখভাল করার জন্য ১৩ জন সুপারভাইজ়ার নিয়োগ করল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। মনোনয়ন প্রক্রিয়া পরিচালনা করতে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই নেতাদের। যেমন পূর্ব মেদিনীপুরের মনোনয়ন পর্ব দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কুণাল ঘোষকে। তিনি আগে থেকেই এই জেলায় দলের অন্দরে সেতুবন্ধনের দায়িত্বে ছিলেন। এর পাশাপাশি জয়প্রকাশ মজুমদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার। সমীর চক্রবর্তী বাঁকুড়া জেলার প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া দেখভাল করবেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবশ্য বিধানসভা ভোট বা লোকসভা ভোটের মতো কেন্দ্রীয়ভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয় না। সাধারণত, জেলাস্তর থেকেই এই প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রায় ৬০ হাজার প্রার্থীর তালিকা জেলাস্তর থেকে ঘোষণা করা হবে।
যদিও বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সৌগত রায়কে এই দেরির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের তাড়া কীসের? আজ ১২ তারিখ। ১৫ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে।’ আগামী ১৪ জুনের মধ্যে প্রার্থী তালিকা বেরিয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তৃণমূল সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আজ (সোমবার) রাতেই প্রার্থী তালিকা জেলায় জেলায় পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিচ্ছে শাসক শিবির। সেই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে পৌঁছলে জেলা নেতৃত্বদের সঙ্গে সমন্বয় করে দলের মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্বের তদারকি করবেন এই ১৩ জন সুপারভাইজ়ার। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ইতিমধ্য়েই জেলার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন – বাঁকুড়ায় সায়ন্তিকার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ,
এদিকে শাসক দলের প্রার্থী তালিকা দিতে দেরি হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সাধারণভাবে কোনও নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেখা যায়,ভোটের প্রচার থেকে শুরু করে প্রার্থী তালিকার দিক থেকে এগিয়ে থাকে শাসক দলই। কিন্তু এবার,পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বের তিন দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও শাসক দলের থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হওয়ায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরমহলেই।