আসানসোলে অগ্নিমিত্রার হাত ধরে বিজেপিতে যোগ তৃণমূলের ২০০ মহিলা কর্মী, দলবদল চলছেই। এরই মধ্যে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মুখে আসানসোলে বড় ধাক্কা তৃণমূল কংগ্রেসের। রাজ্যের শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন প্রায় ২০০ জন মহিলা কর্মী। মঙ্গলবার আসানসোলের (Asansol) জিটি রোডের কুমারপুরে ইভলিং লজে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক কার্যালয়ে এই যোগদান কর্মসূচি হয়। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে বিজেপিতে স্বাগত জানান জেলা সভাপতি দিলীপ দে ও আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি (BJP) বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।
নিয়োগ কেলেঙ্কারি থেকে গরু পাচার, একাধিক মামলার তদন্ত করছে ইডি-সিবিআই। এদিকে তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, রাজনৈতিকভাবে পেরে না উঠতে পেরেই সিবিআই-ইডি দিয়ে হেনস্থা করছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি। এই প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “কোনও এজেন্সি ডাকা মানে সে তো দোষী নয়। যদি কেউ দোষ না করে, ভয় পাওয়ার কি আছে? আর সবচেয়ে বড় কথা হল এই সব কিছুই হচ্ছে আদালতের নির্দেশ মতো।” যদিও এই দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ আসানসোলের তৃণমূল নেতারা। তাঁরা বলছেন, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন। আগামী দিনেও থাকবেন।
আরও পড়ুন – ‘আমার নখের যোগ্য নয়, আর দাঁড়ালে ভোটে জিতবে না’, বাইরানকে আক্রমণ হুমায়ূনের,
এদিন আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার মহিশীলা কলোনির ৮৪ নং ওয়ার্ডের নেত্রী ইন্দ্রাণী মোহালির নেতৃত্বে প্রায় ২০০ জন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। এছাড়াও স্টেশন রোড এলাকার এক নেত্রীও তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন বলে খবর। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করে অগ্নিমিত্রা বলেন, “রাজ্যের মহিলারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে সুরক্ষিত নন। সেটা তাঁর দলের নেত্রীরাই বুঝতে পারছেন। তাই এই দলবদল। বর্তমানে রাজ্যের শাসকদল ও সরকার দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। সব নিয়োগে দুর্নীতি ধরা পড়ছে। আর তাতে জড়িয়ে জেলে যাচ্ছেন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। আগামীদিনে আরও অনেকেই যাবেন।”