টেট নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর। বললেন, টেট করতে রাজ্য সরকারের আয় ২৫ কোটি

কামদুনির রায় ঘোষণার পর আজ শুভেন্দুর নেতৃত্বে পথে নামবে বিজেপি

টেট নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। বললেন, টেট করতে রাজ্য সরকারের আয় ২৫ কোটি।  চলতি বছরের টেট নিয়ে বিস্ফোরক রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লেখেন, “মনে হচ্ছে টেটের নামে টাকা তোলার দারুণ ফন্দি খুঁজে পেয়েছে রাজ্য সরকার। অথচ কাউকেই নিয়োগ করা হবে না।” একটা হিসাব দেখিয়ে শুভেন্দু দাবি করেছেন, পরীক্ষার ফি বাবদ গড়ে ৪০০ টাকা করে নেবে রাজ্য সরকার। কমবেশি ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ২৮ কোটি টাকা তোলা হতে পারে। পরীক্ষা নিতে সবমিলিয়ে খরচ হবে তিন কোটি। রাজ্যের তাহলে লাভ থাকছে ২৫ কোটি। শুভেন্দুর অভিযোগ, পরীক্ষা নেওয়ার নাম করে আসলে টাকা রোজগার করবে রাজ্য।

আরও পড়ুনঃ ‘জাওয়ানের’ সাকসেস পার্টিতে উপড়ি পাওনা ভক্তদের, ‘ডানকির’ মুক্তি তারিখ ঘোষণা করলেন শাহরুক

তার আগেই অবশ্য একটি সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, “আবার ভোট আসছে লোকসভার। আবার টেট হবে। গতবারে টেট হয়েছে। গতবারে টেট হয়েছে, ফর্মের দাম ছিল ১৫০ টাকা, এবার টেট হবে, ফর্মের দাম পাঁচশো টাকা। ২৭ কোটি টাকা তুলবে।” তিনি অভিযোগ করেন, “লাভের টাকা চোর শিক্ষকদের বাঁচানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগাবে। টেট হবে, কিন্তু চাকরি হবে না।”

 

প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত যত টেট হয়েছে, তার ফর্ম ছিল ১৫০ টাকা। ২০২৩ সালে ডিসেম্বর মাসে প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। বুধবারই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়েছেন। কিন্তু এবারে টেটের ফর্মের দাম পাঁচশো টাকা। আর এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই এ কথা বলছেন শুভেন্দু অধিকারী।দিন পর্যন্ত যত টেট হয়েছে, তার ফর্ম ছিল ১৫০ টাকা। ২০২৩ সালে ডিসেম্বর মাসে প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। বুধবারই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়েছেন। কিন্তু এবারে টেটের ফর্মের দাম পাঁচশো টাকা। আর এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই এ কথা বলছেন শুভেন্দু অধিকারী।

 

এখনও পর্যন্ত চাকরির দাবিতে কলকাতার মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা কী বলছেন শুভেন্দুর এই বক্তব্য নিয়ে। এক বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীর কথায়, “পরীক্ষার ফর্মের জন্য টাকা দিতে অসুবিধা নেই। তবে তা দেড়শো টাকা থেকে এক লাফে পাঁচশোটা ভয়ঙ্কর ব্যাপার।পরীক্ষা রেগুলার হচ্ছে সেটা ঠিক, কিন্তু আমরা এটাও চাই নিয়োগটাও নিয়মিত হোক।”