হু-র দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের ৭৩ তম অধিবেশনের সমাপ্তি

হু-র দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের ৭৩ তম অধিবেশনের সমাপ্তি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
হু-র দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের ৭৩ তম অধিবেশনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানের পৌরহিত্য করলেন থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা উপপ্রধানমন্ত্রী মিষ্টার অনুতিন চার্নভিরাকুল। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয়া অঞ্চলের কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সদস্য দেশগুলির স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া ইস্তাহার রূপে  গৃহীত হয়।
ইস্তাহারে বলা হয়েছে-
কোভিড-১৯ মহামারী সাধারণ মানুষের শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক অবস্থার উপর গভীর  প্রভাব সৃষ্টি করেছে। একই সঙ্গে অর্থনীতি এবং সমাজে বিশেষত স্বাস্থ্য পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। এই বিপর্যয় অত্যন্ত উদ্বেগের। তাই এই পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক সদস্য দেশগুলিকে একজোট হয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা আনা প্রয়োজন এবং এই অঞ্চলে মহামারী প্রতিরোধে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। এর জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিসাধন প্রয়োজন। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং জনস্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিসাধনের পাশাপাশি  সাধারণ মানুষের দ্রুত আর্থিক সংস্থান ফিরিয়ে আনা দরকার। কোভিড-১৯ এবং নন কোভিড রোগীদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুণমান সম্মত স্বাস্থ্য সেবা প্রদান সুনিশ্চিত করতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। মহামারী পরিস্থিতিতে আর্থিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় সকল স্বাস্থ্য পরিষেবা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিসাধনে বিশেষত জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে জনকল্যাণমূখী কর্মসূচী গ্রহণ করা দরকার। মহামারীর সময় এবং পরবর্তী পর্যায়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা বজায় রাখতে হবে। সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষা করাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার করতে হবে। সময় মতো তথ্য সরবরাহ ও নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়গুলি এই অঞ্চলের সদস্য দেশগুলির মধ্যে ভাগ করে নিতে হবে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে যুক্ত কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে। সামাজিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রোগী এবং সাধারণ জনগণের সুরক্ষা জোরদার করে তোলা দরকার। করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত বর্জ্য তথা সামগ্রীগুলি সঠিকভাবে বিনষ্ট করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। যাতে কোনোভাবেই এই সমস্ত বর্জ্য থেকে পুনরায় করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে না পরে তার জন্য নজরদারি করা দরকার। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রতিষেধক  ,ওষুধ তৈরির  বিষয়ে গবেষণা জোরদার করতে হবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top