হাসপাতালে ভর্তি পুলিশকর্মীরা, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রণক্ষেত্র ভাঙড় ,আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন , মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোটের (West Bengal Panchayat Polls) মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াতে দেখা যায় ভাঙড়ে (Bhangar)। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড় দু’নম্বর ব্লকের কাঠালিয়া এবং বিজয়গঞ্জ বাজার এলাকা। বুধবারও বদলায়নি ছবিটা। বুধবার সকাল থেকে ফের উত্তেজনা ছড়ায় ভাঙড়ে। ভাঙড়-২ বিডিও অফিসে যখন মনোনয়ন চলছিল, তখন ওই চত্বর তো বটেই, নলমুড়ি এলাকাতেও দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। একই ছবি ভাঙড় ১ এলাকাতেও। মুখে কাপড় বেঁধে হাতে লাঠি নিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়াল এক দল যুবক। মার খেলেন পুলিশ, সাংবাদিকরা। বেলা বাড়তেই কার্যত যেন বোমা নিয়ে শুরু হয় ছেলেখেলা।
এদিন সকাল থেকে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ভাঙড় ১ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত বিবিরআইট – পদ্মপুকুর এলাকায়। আইএসএফ কর্মীদের জমায়েত সরাতে গিয়ে আহত হন ভাঙড় থানার পুলিশ আধিকারিকরা। আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগ পেয়ে আইএসএফের বিরাট বাহিনী বাসন্তী হাইওয়ের পদ্মপুকুর এলাকায় এসে অবৈধ জমায়েত করে বলে অভিযোগ। যায় ভাঙড় থানার পুলিশ। তখনই পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা, ইট, কাচের বোতল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে আইএসএফের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় ভাঙড় থানার এসআই রেফাজুল মণ্ডল সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিক আহত হন। তড়িঘড়ি তাঁদের নলমুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন আইএসএফের কর্মী সমর্থকেরা। ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে দোষীদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে বলে খবর।
আরও পড়ুন – ‘খেলা ISF শুরু করেছে, আমরা শেষ করব…’, ভাঙড়ের ঘটনায় হুঁশিয়ারি TMC বিধায়কের,
যদিও অশান্তির জন্য আইএসএফকে কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল। লাঠি হাতেই একজন বলে উঠলেন, “নওশাদ সিদ্দিকীর গুন্ডা বাহিনী আমাদের মারধর করেছে। সে কারণেই আমরা একজোট হয়েছি।” এলাকার এক তৃণমূল কর্মী বলছেন, “সাধারণ মানুষকে মারধর করছে ওরা। কাল চারটে গাড়ি ভেঙেছে, ৫০টি বাইক ভেঙেছে, প্রচুর বাড়ি ভেঙেছে, গুলি চালিয়েছে।” সূত্রের খবর, এদিন আবার হামলা হয়েছে পুলিশের উপরেও। ভেঙে চুরমার পুলিশের ৩টি গাড়ি। আহত ৮ থেকে ৯ জন পুলিশ কর্মী। প্রত্যেকেই নলমুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।