৮ থেকে ৮০ ভালোবাসি ভালোবাসি মদনমোহন বাড়ির সন্দেশ। মুখ্যমন্ত্রী ও পুজো দেন এই সন্দেশ দিয়ে। কোচবিহার মদনমোহন বাড়ির সামনের সন্দেশ জনপ্রিয় বহুদিন ধরেই। দীর্ঘদিন যাবত বিক্রি হয়ে আসছে বিশেষ ধরনের কিছু সন্দেশ। এই সন্দেশ কোচবিহারের আর অন্য কোন এলাকায় পাওয়া যায় না। বছরের বিভিন্ন সময়ে নতুন ধরনের নানারকম সন্দেশ পাওয়া যায় এখানে। তালের মরশুম শুরু হতেই এখানে বিক্রি শুরু হয় তালের সন্দেশ। এছাড়াও কাজু বাদাম এর সন্দেশ এবং পেস্তা বাদামের সন্দেশ। তবে এবার এই সন্দেশের মধ্যেই যুক্ত হয়েছে আমের সন্দেশ। আর এই সন্দেশ খেতে খুব পছন্দ করছে ছোট থেকে বড় সকল কোচবিহারবাসী। জেলার বাইরে থেকে আসা সকল পুণ্যার্থীরাও এই সন্দেশের স্বাদ নিচ্ছেন এই নতুন ধরনের সন্দেশের।
এই সন্দেশ নিয়েল দোকানদার বিমল ঘোষ জানান,”দীর্ঘ প্রায় ৩০ থেকে ৪০ বছর মদন বাড়ির সামনে সন্দেশ বিক্রি করে আসছেন তিনি। একটা সময় তিনি মদনমোহন বাড়ির সামনে ছানা বিক্রি করতেন। তবে পরবর্তী সময়ে তিনি ধীরে ধীরে মদনমোহন বাড়ির সামনে এই সন্দেশের দোকান শুরু করেন। তাঁর এই সন্দেশ নিয়ে হাতে খড়ি হয় ৪০ বছর আগে। বিমল বাবুর আগে যারা এখানে এই সন্দেশ বিক্রি করতেন তাদের কাছ থেকেই সব শেখা। কোচবিহার মদন বাড়ির সামনে ছাড়া এ সন্দেশ কোচবিহারের আর কোথাও পাওয়া যায় না। এই সন্দেশ সম্পূর্ণ অন্য রকম একটি সন্দেশ। কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতে যারা পুজো দিতে আসেন। তাঁরা এই সন্দেশ দিয়েই বাবা মদনমোহনের পুজো দিয়ে থাকেন।”
আরও পড়ুন – মধ্যপ্রদেশে পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির বড় জয়
তালের মরশুমে এখানে যেমন তালের সন্দেশ বিক্রি করা হয়। সেটি কোচবিহারের মানুষেরা ছাড়াও দারুণ পছন্দ করেন বাইরে থেকে এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা। ঠিক তেমনি এখানে ইতিমধ্যেই এখানে বিক্রি শুরু করা হয়েছে আম সন্দেশ। এই আম সন্দেশ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি দেখতেও দারুন। ইতিমধ্যেই এই সন্দেশ বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে। বিমল বাবু মাঝে মাঝেই নিত্য নতুন বিভিন্ন স্বাদের সন্দেশ বানিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন। ৮ থেকে ৮০