নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ঝাড়গ্রামে 83 তম বর্ষ পদার্পণ দিবস পালন । 1940 সালের 12 ই মে ঝাড়গ্রাম শহরের দূর্গা ময়দানে এসেছিলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। তিনি দুর্গা ময়দানে একটি সভা করেছিলেন। সেটাই ছিল ভারতবর্ষে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর শেষ সভা । সভা শেষ করার পর ভারতের মুক্তি সংগ্রামের জন্য অনন্ত যাত্রার পথে বেরিয়ে পড়েছিলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু।
যিনি আজও ফিরে আসেননি । তাই প্রতিবছর ঝাড়গ্রাম শহরের দুর্গা ময়দান ক্লাবের পক্ষ থেকে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ঝাড়গ্রামে পদার্পণ দিবস বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। বৃহস্পতিবার নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ঝাড়গ্রামে 83 তম বর্ষ পদার্পন দিবস উদযাপন উপলক্ষে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর আবক্ষ আবরণ মূর্তির উন্মোচন করা হয় । সেই সঙ্গে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।
আর ও পড়ুন রামগঙ্গা নদী বাঁধ তৈরিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী অখিল গিরি। মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরির কাছে সংগঠনের পক্ষ থেকে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক ঝাড়গ্রাম শহরের দুর্গা ময়দান প্রাঙ্গণে একটি মিউজিয়াম তৈরি করার দাবি জানানো হয়। কারণ নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ঝাড়গ্রাম দুর্গা ময়দানে শেষ সভা করেছিলেন ।
তাই দুর্গা ময়দান ক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁর স্মৃতি আজও বহন করে চলেছেন ক্লাবের সদস্যরা। সেই জন্য ঝাড়্গ্রাম দুর্গা ময়দানে একটি মিউজিয়াম তৈরি করা হলে সেখানে সুভাষচন্দ্র বসুর অজানা অনেক কিছুই থাকবে বলে তারা জানান। মন্ত্রী অখিল গিরি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস দেন ।নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর আবক্ষ মূর্তির উন্মোচন করে মন্ত্রী বলেন ঝাড়্গ্রাম দুর্গা যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সেই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয় ।স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতি সম্মান জানানোর জন্য ঝাড়্গ্রাম দুর্গা ময়দান ক্লাবের তিনি প্রশংসা করেন।