অভিষেকের হাতে কী কী দায়িত্ব, কি বললেন মদন মিত্র ? এসএসকেএমে (SSKM) রোগী ভর্তি করাতে না পেরে ‘অগ্নিশর্মা’ মদন মিত্রের (Madan Mitra) গলায় শোনা গিয়েছে বাম সরকারের প্রশংসা। শোনা গিয়েছে পিজির ‘বেহাল পরিকাঠামো’র কথাও। এমনকী পিজির ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ করেছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। সঙ্গে দলনেত্রীকে নিয়েও মদন-বাণ ধেয়ে এসেছে শনিবার। প্রয়োজনে বিধায়ক পদ ছাড়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে রবিবার ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে মদনের মুখে শুধুই মমতা-অভিষেকের জয়জয়কার। বারবার বলেছেন, দলের একনিষ্ঠ কর্মী তিনি। তৃণমূল থেকে সরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। এমনকী একটু বেশিই ‘আবেগতাড়িত’ হয়ে এদিন মদনকে বলতে শোনা গিয়েছে, “তৃণমূলের পতাকা বুকে করেই লাশ বেরোবে। আর কোনও দলের না।” এসএসকেএমে যে রোগীকে ভর্তি করানো নিয়ে এতকিছু, তিনি আপাতত মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। রবিবার তাঁকে দেখতে যান মদন মিত্র। এরপরই বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতেও যান তিনি।
মদনের কথায়, “কুন্তল কে? সে কতগুলো নাম দিয়েছে, অভিষেককে চিনতে হবে কার কার কাছে টাকা গিয়েছে? এটা কি অভিষেকের কাজ নাকি? অভিষেকের কাজ নবপ্লাবন এনে পশ্চিমবঙ্গে প্রমাণ করে দেওয়া সিবিআই, ইডি এজেন্সি লাগাবার পরও ৫টার বেশি সিট বিজেপি লোকসভায় পাবে না বাংলা থেকে। পঞ্চায়েতে ৯৮ শতাংশ সিট পেয়ে আবার তৃণমূল ফিরবে। ২০২৬-এও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সরকার গড়বে।”
আরও পড়ুন – কুন্তল প্রসঙ্গে অভিষেক বললেন ‘কোনওদিন দেখিনি, চিনি না, ফোনে কথাও হয়নি’,
মদন মিত্র বলেন, “সারদা চিটফান্ডের মিথ্যা মামলা দিয়ে সিবিআই শুরু হয়েছে। ১৩০ কোটির দেশে বিজেপি প্রথম তৃণমূলের যাঁকে টার্গেট করেছিল, তাঁর নাম মদন মিত্র। সেই ট্র্যাডিশন আজও চলছে। ২৩ মাস জেলে থেকেছি। কিছুই পায়নি।” মদন মিত্রের কথায়, তাঁকেও সেদিন হেনস্থা করার জন্য সিবিআইকে ব্যবহার করা হয়েছিল। এখন অভিষেকের ‘নবজোয়ার’ রুখতে সিবিআইকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের কথায়, “কে একটা কুন্তল ঘোষ, তাঁর কথায় অভিষেকের মতো নেতাকে ডাকছে। এই নোংরামি বিজেপি করছে। ও রাস্তায় নেমেছে বলে ওকে ডেকেছে। বিজেপি অভিষেকের জনজোয়ার দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছে। সিবিআই কী প্রশ্ন করেছে, অমুক কি গয়না পাচারে ছিল? তমুক কি গরু পাচারে ছিল? অমুক কি কয়লা চুরিতে, বালি চুরিতে ছিল?” মদনের সংযোজন, “অভিষেক কি ট্রাফিক কনস্টেবল নাকি? কে কখন গাড়ি নিয়ে কোথায় যাচ্ছে তা দেখা ওর কাজ নাকি? একটা কুন্তল না কে তাঁর কথায় সারা ভারতবর্ষের সবথেকে জনপ্রিয় যুব নেতাকে ডাকছে। আসলে অভিষেক মমতা জুটিকে বিজেপি ভয় পাচ্ছে।”