পাসপোর্ট ইস্যুতে স্বস্তি পেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। স্বস্তি রাহুলের, সাধারণ পাসপোর্টে আর কোনও বাধা রইল না, কূটনৈতিক পাসপোর্ট জমা দিতে হয়েছিল আগেই। পরে সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত সেই পাসপোর্টের ক্ষেত্রে এনওসি (নো অবজেকশন) দিয়েছে। অর্থাৎ সাধারণ পাসপোর্ট ব্যবহারে রাহুলের আর কোনও বাধা রইল না। আদালতের নির্দেশে সাংসদ পদ চলে যাওয়ায় রাহুলকে কূটনৈতিক পাসপোর্ট জমা দিয়ে দিতে হয়েছিল। তিন বছরের জন্য এই এনওসি দেওয়া হয়েছে।
শুধুমাত্র মানহানির মামলায় নয়, এর আগে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সেই মামলায় মামলাকারী ছিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাই তাঁর জবাব তলব করা হয়েছিল আদালতের তরফে। শুক্রবারের মধ্যে সেই জবাব তলব করা হয়েছিল। তবে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আগেই উল্লেখ করেছিলেন, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই।
আদালতে এনওসি-র বিরোধিতা করেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তিনি দাবি করেছিলেন, ২০০৩ সালে ব্রিটেনে রেজিস্টার হওয়া একটি সংস্থা, ব্য়াকপ লিমিটেডের ডিরেক্টর ও সেক্রেটারি হিসাবে রাহুল গান্ধীর নামের উল্লেখ ছিল। তদন্তে জানা যায়, সেখানে রাহুল গান্ধী নিজেকে ব্রিটিশ নাগরিক হিসাবে দাবি করেছেন। এরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নোটিস পাঠানো হয়েছিল। পাসপোর্ট থাকা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না বলেও আদালতে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি জানান, জাতীয় সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা বা অপরাধ দমন করতে সরকার চাইলেই কারও পাসপোর্টে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে।
আরও পড়ুন – হামলার আশঙ্কা! জ়েড প্লাস স্তরের নিরাপত্তা পাচ্ছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান,
মোদী-পদবী মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালতের নির্দেশে সাংসদ পদ থেকে সরতে হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। তারপরই পাসপোর্ট জমা দিতে হয়েছিল তাঁকে। গত মঙ্গলবার নো অবজেকশন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন রাহুল (Rahul Gandhi)।