তৃণমূলে যোগ দিলেন সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস ,বিধানসভায় ফের শূন্য হল কংগ্রেস! শেষ পর্যন্ত তৃণমূলে যোগ দিলেন সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস (Bairon Biswas)। বাইরনকে নিয়ে ৩ মাসেই সাগরদিঘি ‘পুনরুদ্ধার’ তৃণমূলের l জয়ের তিন মাসের মধ্যে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দিলেন তিনি। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন বাইরন। বিধানসভায় কংগ্রেসের এক মাত্র বিধায়ক ছিলেন বাইরন (Bairon Biswas)। ফলে তিনি দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতাতেও পড়বেন না। সোমবার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন বাইরন। বিধানসভায় কংগ্রেসের এক মাত্র বিধায়ক ছিলেন বাইরন (Bairon Biswas)।
বাইরনের (Bairon Biswas) দলবদল নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মনোজ চক্রবর্তী (Manoj Chakrabarty) বলেন, ‘‘মিরজাফরের থেকেও মানুষের সঙ্গে বড় বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বাইরন। কংগ্রেস কর্মী এবং সাগরদিঘির মানুষের সমর্থন নিয়ে জিতে যে ভাবে তিনি দলবদল করেছেন তা বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। আগামি দিনে মানুষ এর জবাব দেবে।’’
আরও পড়ুন – কেন শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়েছিলেন?খোলসা করলেন বিরোধী দলনেতা,
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হয়েছিল সাগরদিঘি (Sagardighi) আসনটিতে। এর পর গত ২ মার্চ সাগরদিঘির ফল ঘোষণা হয়। ওই আসনে বামেদের সঙ্গে জোট গড়ে লড়াই করেছিল কংগ্রেস (Cpngress)। তার ফলও পায় হাতশিবির। বাইরনের (Bairon Biswas) হাত ধরে সাগরদিঘি জয় করে কংগ্রেস। ২০২১ সালে বিধানসভায় শূন্য হয়ে গিয়েছিল কংগ্রেস (Cpngress)। বাইরনের হাত ধরে এ বার তারা বিধানসভায় প্রবেশ করেছিল। ওই উপনির্বাচনে জয়ের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) ঘোষণা করেছিলেন যে, তৃণমূলকে ‘বধিবে যে’ সাগরদিঘিতে (Sagardighi) ‘বাড়িছে সে’। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই বাইরন দলবদল করলেন সোমবার।
(সব খবর , ঠিক খবর ,প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube )