‘প্রত্যেক ঘরছাড়াকে ফিরিয়ে আনা হবে’,মণিপুরের গিয়ে প্রতিশ্রুতি শাহের, হিসাং ছড়ানোর প্রায় এক মাস পরে মঙ্গলবার মণিপুর সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকের পরে সংঘর্ষে নিহতদের পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও এক জনের চাকরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। বুধবার মায়ানমার সীমান্তের অদূরে হিংসাবিধ্বস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করলেন তিনি। কথা বললেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে। বৈঠক করলেন বিভিন্ন সামাজিক এবং নাগরিক সংগঠন এমনকি, যুযুধান জনগোষ্ঠীগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও।
গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল মণিপুরে। অভিযোগ সে সময় কর্নাটকের বিধানসভা ভোটের প্রচারে ব্যস্ত থাকায় মণিপুর পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়ার সময় পাননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ। অবশেষে দক্ষিণ ভারতের ওই রাজ্যে ভোটগণনা মেটার পরে গত ১৫ মে মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে সক্রিয় হয়েছিলেন তিনি। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই বিজেপি শাসিত রাজ্যে শান্তি ফেরাতে বিভিন্ন জনজাতি এবং মেইতেই জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
সম্প্রতি মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয়। বুধবার শাহ মোরে এবং কাংপোকপি এলাকা পরিদর্শনে যান। দক্ষিণ মণিপুরের সেরো ও সুগনু গ্রামে মায়ানামার থেকে ঢোকা প্রায় ৩০০ সশস্ত্র জঙ্গি তাণ্ডব চালিয়েছে বলে শাহের কাছে মেইতেইদের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন – রাজ্যে আসছেন মোদী, জুনে সভা শাহ-নড্ডারও,
শাহ বুধবার বলেন, ‘‘হিংসার কারণে যাঁরা ঘরছাড়া হয়েছেন, তাঁদের ভিটেয় ফিরিয়ে আনতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রসঙ্গত, সরকারি রিপোর্ট বলছে, মণিপুরের আদি বাসিন্দা মেইতেইদের সঙ্গে কুকি, জ়ো এবং অন্য কয়েকটি জনজাতি গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহতের সংখ্যা প্রায় আড়াইশো। গোষ্ঠীহিংসার জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ!