ওডিশার ট্রেন দুর্ঘটনা ১০০ শতাংশ ষড়যন্ত্রের ফল, নাশকতার তত্ত্ব প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী, ওডিশার বালাসোরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে একসঙ্গে দুর্ঘটনার মুখে তিনটি ট্রেন। তিন দশকের সবথেকে ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু মিছিল। আহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। নিখোঁজের তালিকাও দীর্ঘ। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে নাশকতার ষড়যন্ত্র। এমনই দাবি তুললেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী। প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর মতে, ”এটা একটা বড় ষড়যন্ত্র। সুপরিকল্পিতভাবে সময়ের অঙ্ক কষেই এটা ঘটানো হয়েছে। নইলে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে এত বড় দুর্ঘটনা পরপর ঘটতে পারত না।” প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর এই তত্ত্বে ফের শোরগোল জাতীয় রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
এক সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী দাবি করেন, ”এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পিছনে নাশকতার ছক রয়েছে। ১০০ শতাংশ পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পিছনে নাশকতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এটা কোনও সাধারণ দুর্ঘটনা হতে পারে না।”
বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী দীর্ঘদিন ভারতের রেলমন্ত্রক সামলে আসা মন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর দাবি, ”ইন্টারলকিং সিস্টেম সম্পর্কে আমি যতটা বুঝি বা যা ইনপুট পেয়েছি, তাতে এটা বোঝা যাচ্ছে এটা কাজ করেছিল। আমার মনে হচ্ছে এটার পিছনে একটা বড়সড় কারসাজি করা হয়েছে। আর ওই কারিকুরির জেরেই করমণ্ডল এক্সপ্রেস মেইন লাইন থেকে লুপ লাইনে চলে গিয়েছিল। এরপরই আরও যা তথ্য সামনে এসেছে তাতে আমি ১০০ শতাংশেরও বেশি নিশ্চিত ওই দিন যা হয়েছে তা অন্তর্ঘাত। একসঙ্গে তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনার মুখে পড়া সাধারণ দুর্ঘটনা নয়।”
আরও পড়ুন – ‘রেল দুর্ঘটনার সিবিআই তদন্ত কেন’? মোদীকে চিঠিকে খড়্গের,
এখানেই শেষ নয়, নাশকতার তত্ত্বে যুক্তি হিসেবে দিনেশ ত্রিবেদী আরও বলেন, ”একটা রেল দুর্ঘটনায় একাধিক জিনিস কাকতালীয় হতে পারে না। ইন্টারলকিং সিস্টেম এভাবে বিগডে যাওয়া অসম্ভব। যদি কোনও ইন্টারলকিং সিস্টেম কাজ না করে তবে অন্য সিস্টেম সেই জায়গাটা প্রতিরোধ করে। একে বলে ‘ফেল-সেফ’। যদি ‘ফেল-সেফ’ সক্রিয় হয়ে যেত তাহলে ওই ট্র্যাকের সব সিগন্যাল লাল হয়ে যেত এবং ট্রেন সামনে এগোতে পারত না। কিন্তু ওই দিন সিগন্যাল সবুজ ছিল।”