শিশু কোলে রাস্তায় ঘুরছিল ২ মহিলা, সুযোগ বুঝে বাড়িতে ঢুকে চুরি, ভরদুপুরে কাঁথি শহরের এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টা নাগাদ বাড়িতে ঢুকে দেতালায় আলমারির চাবি খুলে সোনার গয়না সহ লক্ষাধিক টাকা চুরি করে পালায় দুষ্কৃতিকারীরা। ঘটনার খবর পেয়ে হাজির হয় কাঁথি থানার পুলিশ। ততক্ষণে কাঁথি শহর ছেড়ে চম্পট দেয় চোরের দল। ঘটনা জানাজানি হতেই শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কাঁথি থানার পুলিশ।
রণজিৎবাবু বলেন, “দুপুর ১ টা নাগাদ দুই মহিলা দুই শিশুকে নিয়ে আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল। দোতালায় উঠে আলমারি থেকে ১৪ ভরি সোনা ও নগদ ৭৭ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। পুলিশকে জানানোর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছয়।”কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, “বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। তদন্তের আগে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।”
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহরে জালালখাবাড়ে নবশ্রী পল্লির বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রণজিৎ মাইতি। তাঁর বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। নিজের ব্যক্তিগত কাজে রণজিৎবাবু বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও মেয়ে ও ছেলে ছিলেন। বাড়িতে ঢোকার তালা দেওয়া না থাকায়, সুযোগ বুঝে বাড়িতে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা। সোজা বাড়ির দোতালায় উঠে আলমারির চাবি খুলে নগদ ৭৭ হাজার টাকা ও সোনার গয়না (১৪ ভেরি) নিয়ে চম্পট দেয়।
আরও পড়ুন – কারা ভাঙল সোভিয়েত আমলের বাঁধ? কয়েক ঘণ্টায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে বন্যার আশঙ্কা,
চুরি যাওয়া সোনার গয়নার বাজারমূল্য প্রায় ৭ লক্ষ হাজার টাকা। কিছুক্ষণ পর বাড়ির মালিক রণজিৎ বাড়িতে ঢোকেন। তখনই দেখতে পান আলমারি জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তারপরই স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় এলাকায় খোঁজাখুঁজি করলেও তাদের কোনও সন্ধান পায়নি। খবর দেওয়া হয় কাঁথি থানার পুলিশ। খবর পেয়েই হাজির হয় কাঁথি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।