রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভায় সিবিআই হানা, সল্টলেকে পুর দফতরেও অভিযান তদন্তকারীদের

রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভায় সিবিআই হানা, সল্টলেকে পুর দফতরেও অভিযান তদন্তকারীদের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভায় সিবিআই হানা, সল্টলেকে পুর দফতরেও অভিযান তদন্তকারীদের ,পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এ বার রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভায় হানা দিল সিবিআই। বুধবার সকালেই সিবিআই আধিকারিকেরা একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় পৌঁছন। তার আগে সল্টলেকে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরেও যায় সিবিআইয়ের একটি দল। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখার জন্যই তাদের এই অভিযান। ইতিমধ্যেই হালিশহর, টিটাগড়, নব ব্যারাকপুর, শান্তিপুর এবং দক্ষিণ দমদম পুরসভায় হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের হুগলির ফ্ল্যাটেও গিয়েছে সিবিআইয়ের একটি দল। সকাল ১১টা নাগাদ চুঁচুড়ার জগুদাসপাড়ায় অয়নের ফ্ল্যাটে ঢোকে তারা। সিবিআই হানা প্রসঙ্গে মুখ খুলে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “পুরোটাই রাজনীতি চলছে।” পুরসভায় দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্য তদন্ত চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

 

 

 

 

 

 

সিবিআই-রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। এর আগে, হাই কোর্টের দু’টি ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল প্রধান বিচারপতির কাছে। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিন‌্হা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এবং বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি ফিরিয়ে দিয়েছিল। হাই কোর্ট জানিয়েছিল, মামলাটি এই দুই বেঞ্চের বিচার্য বিষয়ের তালিকায় নেই। তাই এই মামলার শুনানি সম্ভব নয়। ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটি ছেড়ে দেওয়ায় তা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলা পাঠান প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। চলতি সপ্তাহে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

 

 

 

 

 

আদালতের নির্দেশে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত শুরু করার পর তদন্তে নামে ইডি-ও। আগেই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অয়নের বিরুদ্ধে ইসিআইআর দায়ের করেছিল ইডি। অন্যান্য অভিযোগের ক্ষেত্রে পুলিশ যেমন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে, এটাও অনেকটা তেমনই। এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল অয়নের। সেই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। এখন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন তিনি। অয়নের বাড়িতে তল্লাশির সময়ই পুরসভা নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র মেলে। ইডির রিপোর্টে বলা হয়, কাঁচরাপাড়া, টাকি, দক্ষিণ দমদম, হালিশহর, বরাহনগর-সহ একাধিক পৌরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন অয়ন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ১০০০ জন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে অয়ন ৪৫ কোটি টাকা তুলেছেন বলে চার্জশিটে দাবি করে ইডি। অন্য দিকে পুর নিয়োগের জন্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অয়ন ৩৫-৪০ কোটি টাকা তুলেছেন বলে ইডি সূত্রে খবর।

 

 

 

 

 

আরও পড়ুন – রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব নিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ

 

 

 

গত ১৯ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়নকে গ্রেফতার করেছিল আর এক তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ইডির তরফে দাবি করা হয়, তাঁর সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা যায়, ‘এবিএস ইনফ্রোজোন’ নামে অয়নের সংস্থার মাধ্যমে একাধিক পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। বিষয়টি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠলে তিনি পুরসভায় দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে এই মামলার এজলাস বদল হলেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রাখে হাই কোর্ট।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top