আইসিদের আরও দায়িত্ববান হওয়ার পরামর্শ মমতার , রাজ্যে সাম্প্রতিক অতীতে বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে পুলিশকর্মীরা (Police) নিজেরাই আক্রান্ত হয়েছেন। আবার কখনও কোনও ঘটনা ঘটার পর স্থানীয় থানার থেকে পুলিশকর্মীরা দেরিতে গিয়ে পৌঁছনোর অভিযোগও উঠেছে। তা নিয়ে স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে অসন্তোষও তৈরি হয়েছে। সেই সব ঘটনার কথা কানে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও (Mamata Banerjee)। এদিন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচি নিয়ে কথা বলার সময়ে নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এল সেই প্রসঙ্গও। বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের উদ্দেশে মমতার পরামর্শ, কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলে, বিডিও ও স্থানীয় থানার আইসিরা যাতে আগে পদক্ষেপ করেন, সেই বিষয়টির দিকে নজর দেওয়ার জন্য।
উল্লেখ্য, গতকালও পুলিশকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার একটি ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। ঘটনাস্থল ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানা এলাকা। সেখানে এক নাবালিকার বিয়ে রুখতে গিয়ে একজন মহিলা কনস্টেবল, একজন এএসআই, দু’জন পুরুষ কনস্টেবল, এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশের গাড়ির চালক আক্রান্ত হয়েছিলেন। পুলিশকর্মীরা ওই কনের জন্মের শংসাপত্র পরিবারের থেকে দেখতে চাইতেই শুরু হয় অশান্তি। এরপর পুলিশকর্মীদের থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়ে, তাঁদের মারধর করে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার অভিযোগ এসেছিল। আর এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন – ‘দিদিকে বলো’-র পর এবার ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ , কীভাবে জানাবেন অভিযোগ?
মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘প্রথমে যখন ঘটনা ঘটে, তখন স্থানীয় থানার আইসিরা বিষয়টি জানতে পারেন। কিন্তু আইসি যদি তিন ঘণ্টা পরে যান, তখন ঘটনাটি অন্য রূপ নিতে পারে। থানার আইসিরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাবেন। কিন্তু দুইজন পুলিশ নিয়ে চলে যাবেন, এটা যেন না হয়। দশটা গুন্ডা তৈরি হয়ে, পুলিশকে মারছে… এটা তো ভাল নয়। আপনার যা লোকবল রয়েছে, সেই লোকবল নিয়েই যেতে হবে। পরে প্রয়োজন হলে আরও লোক চেয়ে নেবেন।’