মানিকতলা বিধানসভায় উপনির্বাচনের দাবি জানাল ভোটকর্মী ঐক্যমঞ্চ। বিধায়কশূন্য মানিকতলা, সাধন পাণ্ডের (Sadhan Panday) মৃত্যুর দেড় বছর পরে উপনির্বাচনের দাবি কমিশনে,সোমবার ঐক্যমঞ্চের প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে উপনির্বাচনের দাবিতে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন। রাজ্য সরকারি কর্মচারী যাঁরা ভোটের কাজে নিয়োজিত হন, তাঁদের নিয়েই তৈরি ভোটকর্মী ঐক্যমঞ্চ। বিধায়কের (Sadhan Panday) মৃত্যুর দেড় বছর পরেও কেন মানিকতলায় উপনির্বাচন করানো গেল না, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে সংগঠনটি।
মন্ত্রী তথা বিধায়ক সাধন (Sadhan Panday) মারা যান ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। স্বাভাবিক ভাবেই উপনির্বাচনের দাবি উঠেছে মানিকতলায়। কিন্তু ২০২১ সালের মে মাসে বিধানসভা ভোটের পর মানিকতলা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে মানিকতলা (Maniktala) কেন্দ্রের ফলাফলকে ঘিরেই। তাই সেখানে উপনির্বাচন করাতে পারেনি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু ভোটকর্মী ঐক্যমঞ্চের নেতা স্বপন মণ্ডলের অভিযোগ, ভোটের ফলাফল নিয়েই মামলা হলেও, কোথাও লেখা নেই যে উপনির্বাচন করা যাবে না। তাই আমরা চাই মানিকতলার মানুষের কথা মাথায় রেখেই সেখানে উপনির্বাচন হোক।
আরও পড়ুন – লোডশেডিং নিয়ে দফতরে দফতরে শুভেন্দু, কি বলছেন তিনি ?
সংগঠনটির দাবি, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যের মন্ত্রী তথা মানিকতলার বিধায়ক সাধন পাণ্ডে প্রয়াত হওয়ার পর দেড় বছর অতিবাহিত হলেও এখনও সেখানে উপনির্বাচন করার কোনও নির্দেশ দেয়নি ভারতের নির্বাচন কমিশন। গত বছর ডিসেম্বর মাসের ২৯ তারিখে প্রয়াত হন রাজ্যের আরও এক মন্ত্রী তথা সাগরদিঘির বিধায়ক সুব্রত সাহা। তাঁর মৃত্যুর পর চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন হয়েছে। অথচ কোনও এক অজ্ঞাত কারণে মানিকতলায় ভোট হচ্ছে না। মানিকতলা বিধানসভার মানুষের সুবিধার্থেই ভোট চেয়েছেন তাঁরা, এমনটাও দাবি করা হয়েছে ওই স্মারকলিপিতে।
(সব খবর, ঠিক খবর, প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো Fcaebook করুন পেজ এবং Youtube)