বৃহস্পতিতে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’,প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দাকে সরানো হল, তীব্র গতিতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ (Biporjoy)। বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন গুজরাটের (Gujarat)কচ্ছ জেলার জাখাউ বন্দরের কাছে বিপর্যয় আছড়ে পড়বে বলে পূর্বাভাস মৌসম ভবনের। যদিও আছড়ে পড়ার আগে সোমবার থেকেই ‘বিপর্যয়’-এর প্রভাব শুরু হয়ে গিয়েছে কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্র উপকূল সহ গুজরাটের বিস্তীর্ণ এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এদিন থেকেই উপকূলবর্তী এলাকা খালি করতে শুরু করেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে উপকূলের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দাকে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। এদিকে, গুজরাটের প্রায় সমস্ত জেলাতেই লাল ও কমলা সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন (IMD)। গোটা বিষয়টি তদারকি করছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম সাহায্য করার ব্যাপারে গুজরাট সরকারকে আশ্বস্তও করেছেন তিনি।
‘বিপর্যয়’ মোকাবিলায় এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করেছে গুজরাট সরকার। বিপর্যয় এড়াতে আগামী বৃহস্পতিবার কচ্ছ জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। সমস্ত স্কুল, কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী এলাকায় নামানো হয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDRF)। কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্র উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। কচ্ছ জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, ইতিমধ্যে ১০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। সেনা, নৌবাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDRF) ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (NDRF) সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন – মানিকতলা বিধানসভায় উপনির্বাচনের দাবি জানাল ভোটকর্মী ঐক্যমঞ্চ
কচ্ছ উপকূলে ‘বিপর্যয়’ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও ভালসাদ, গির সোমনাথ, ভাবনগর, আমরেলি সহ অন্যান্য জেলাতেও সোমবার রাত থেকে বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসন কতটা প্রস্তুত, সে ব্যাপারে জানতে এদিন দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মৌসম ভবনের আধিকারিক, গুজরাট প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা, এনডিআরএফ, এসডিআরএফের কর্তাদের সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই গুজরাটের কচ্ছ জেলার জাখাউ বন্দরের কাছে আছড়ে পড়বে অত্যন্ত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। ল্যান্ডফলের সময় ‘বিপর্যয়’-এর সর্বোচ্চ গতিবেগ উঠতে পারে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার থেকে ১৫০ কিলোমিটার। প্রবল বেগে হাওয়ার সঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন মৌসম ভবনের আহমেদাবাদ কেন্দ্রের অধিকর্তা মনোরমা মোহান্তি। যদিও এদিন সকাল থেকেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। ফলে এদিন সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ উপকূলে কমলা সতর্কতা এবং বুধ ও বৃহস্পতিবার লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। মৎস্যজীবীদেরও আগামী তিনদিন সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।