বন্ধ হয়ে যাবে ব়্যাপিডো? শীর্ষ আদালতে জোর ধাক্কা উবার-ব়্যাপিডোর, সুপ্রিম কোর্ট জোর ধাক্কা খেল উবার ব়্যাপিডোর মতো অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলি। দিল্লির রাস্তায় আর চলবে না বাইক-ট্যাক্সি। এর আগে, দিল্লি হাইকোর্ট র্যাপিডো এবং উবারকে দিল্লিতে বাইক-ট্যাক্সি চালানোর অনুমতি দিয়েছিল এবং দিল্লি সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল যে, এই বাইক-ট্যাক্সি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কোনও জোরাল পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। দিল্লি হাইকোর্টের এই রায়ের উপর এদিন স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং রাজেশ ভিন্দালের অবকাশকালীন বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়েছে, বাইক-ট্যাক্সি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে দিল্লি সরকার নয়া নির্দেশিকা জারি না করা পর্যন্ত রাজধানীতে এই ধরনের বাইক-ট্যাক্সিগুলি আর চালানো যাবে না। আগেই দিল্লি সরকার জানিয়েছে, ৩০ জুনের মধ্যে দুই চাকার যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক যানবাহনগুলির বিষয়ে একটি নীতি গ্রহণ করা হবে।
হাইকোর্টের সেই আদেশকে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিল দিল্লির আপ সরকার। গত সপ্তাহে, এই বিষয়ে কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন, আদালতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সঞ্জয় জৈন। তিনি জানান, বাইক-ট্যাক্সি সংস্থাগুলির জন্য পৃথক লাইসেন্স প্রদানের নীতি তৈরির বিষয়টি রাজ্য সরকারগুলির উপরই ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এরপরই শীর্ষ আদালত জানায়, বাইক ট্যাক্সি সংস্থাগুলিকে লাইসেন্স দেওয়ার জন্য একটি নীতি প্রণয়নের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে দিল্লি সরকার। এই পরিস্থিতিতে বাইক-ট্যাক্সিগুলির চলাচল বন্ধ রাখাই উচিত। এই বিষয়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তির উপর হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ জারি করেছে, তা অযৌক্তিক। তাই, দিল্লি হাইকোর্টের আদেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন – ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ বন্ধ করতে কমিশনকে চিঠি বিজেপির! মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি
চলতি বছরের শুরুতেই বাইক-ট্যাক্সি সম্পর্কে একটি নোটিশ জারি করেছিল দিল্লি সরকার। ওলা, উবার, র্যাপিডোর মতো সংস্থাগুলিকে সতর্ক করে সরকার জানিয়েছিল, ১৯৮৮ সালের মোটর যান আইন অনুযায়ী বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে দুই চাকার গাড়ির ব্যবহার করা যায় না। তাই বাইক-ট্যাক্সিগুলি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে প্রথমবার আইন ভাঙলে ৫,০০০ টাকা জরিমানা এবং দ্বিতীয়বার আইন ভাঙলে ১০,০০০ টাকা জরিমানা এবং এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে, জানিয়েছিল দিল্লির পরিবহন বিভাগ। সেই সঙ্গে তিন মাসের জন্য চালকদের লাইসেন্স সাসপেন্ড করা হবে বলেও জানানো হয়েছিল। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিল উবার এবং ব়্য়াপিডো। দিল্লি হাইকোর্ট বলেছিল, এই বিষয়ে সরকার চূড়ান্ত নীতি স্থির না করা পর্যন্ত, বাইক-ট্যাক্সি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।