ভাঙড়ের মানুষ বুঝলেন নওশাদ ক্রিমিনাল বললেন আরাবুল, বুধবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। চলে গুলিও। লাঠি, বাঁশ নিয়ে চলল বেধড়ক মারধর। হল ইটবৃষ্টি, ছোড়া হল টিয়ার গ্যাসের সেল। মনোনয়ন ঘিরে উত্তপ্ত ভাঙড় (Bhangar)। গোটা ঘটনায় আইএসএফ ও তৃণমূল পরস্পরের দিকে আঙুল তুলেছে। যদিও, গোটা ঘটনার দায় আইএসএফ-এর উপর চাপালেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে ভাঙড়ে মনোনয়ন জমা দিতে যান আইএসএফ কর্মীরা। অভিযোগ, বিডিও অফিসের সামনেই তৃণমূল কর্মীরা জমায়েত করে ছিলেন। আইএসএফ কর্মীরা আসতেই ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয় বলে অভিযোগ। মুড়িমুড়কির মতো বিডিও অফিসের সামনে চলতে থাকে বোমাবাজি।
এমনিতেই মনোনয়ন কেন্দ্রের একশো মিটার রেডিয়াসের মধ্যে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞাকে নস্যাৎ করেই সেখানে তৃণমূল কর্মীরা বাঁশ হাতে ‘প্রহরা’য় ছিলেন বলে অভিযোগ। আর আইএসএফ এসে পৌঁছতেই শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। ক্যামেরায় ধরা পড়ে, এক আইএসএফ কর্মীকে ধরে টেনে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। তিনি ক্যামেরার সামনে হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকেন। তাঁর বক্তব্য, তিনি আইএসএফ কর্মী। মনোনয়ন জমা দিতে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁর সামনেই বোমা ফেলে তৃণমূল। তাঁর কথায়, ” টিএমসি-রা আমায় গুলি করছে স্যর, আমার ক্যান্ডিডেটকে মারছে স্যর। আমি আর কী করব! টিএমসি-রা প্রচণ্ড বম্ব-গুলি চালাচ্ছে । আরাবুল-সওকতের নেতৃত্বেই এই হামলা।”
এ দিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে আরাবুল বলেন, ” নওশাদ সিদ্দিকি হাড়োয়া-সহ একধিক জায়গার অপরাধীদের ধরে ভাঙড়ে নিয়ে এসেছে। পরিকল্পনা করে আজকে আমাদের উপর আক্রমণ করেছে। একটার পর একটা গাড়ি ভাঙচুর করেছে। অনেক দোকান-পাট ভাঙচুর হয়েছে। তবে এই ঘটনায় ভাঙড়ের মানুষ বুঝলেন নওশাদ সিদ্দিকি একজন অপরাধী।”
আরও পড়ুন – ভাঙড়ে অভিষেক ঢোকার আগেই তৃণমূল-আইএসএফ বোমাবাজি,
যদিও, পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “প্রথমে তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা আমাদের আটকানোর চেষ্টা করেছে। যখন ব্যর্থ হয়েছে, তখন পুলিশকে কাজে লাগিয়েছে। তবে আমাদের প্রার্থীদের আটকেছে, আমরা আইনি পথে লড়াই করব।”