কেষ্টহীন বীরভূমে তৃণমূলের মনোনয়ন ঘিরে কী চলছে? দলের তরফে এখনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কেরিম খান এবার টিকিট পেলেন না পঞ্চায়েতের।আর এদিকে কট্টর কেষ্ট-বিরোধী বলে পরিচিত কাজল শেখকে আজ দেখা গেল পঞ্চায়েতের মনোনয়নপত্র জমা দিতে।বীরভূমের জেলা পরিষদের বিদায়ী পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান। জেলার রাজনীতিতে কেষ্ট-মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত তিনি।কিন্তু তিনি এবার জেলা পরিষদে মনোনয়ন পত্র দাখিলের সুযোগ পাচ্ছেন না বলেই সূত্রের খবর।
মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রসঙ্গে বললেন,‘দল প্রয়োজন মনে করেছে, তাই আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে।দলের স্বার্থে জীবন বিসর্জন দিতে পারি।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য কাজল শেখ সবকিছু করতে প্রস্তুত।’যে কাজল শেখকে এতদিন বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রত বিরোধী বলে চেনা যেত,আজ সেই কাজল শেখই বলছেন,তিনি ‘অনুব্রতর শিষ্য।’
এবারে বীরভূমের জেলা পরিষদে ৫২ টি আসন। কিন্তু সেখানে পুরনোদের অনেকেই টিকিট পাননি।একঝাঁক নতুন মুখকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।তাহলে কি কেষ্টভূমে অনুব্রতর একচ্ছত্র রাজ বন্ধ করতে উদ্যোগী তৃণমূল?সেই প্রশ্ন অবশ্য এড়িয়ে গিয়েছেন কাজল শেখ।নিজেকে অনুব্রতর শিষ্য বলে দাবি করে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
এই একই প্রশ্ন করা হয়েছিল বীরভূম জেলায় তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীকে।অনুব্রত ঘনিষ্ঠ অনেকের নাম জেলা পরিষদের আসন থেকে বাদ যাওয়া নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা তো আমার জানা নেই।কারও ডানা ছাঁটা হয়েছে বলে আমার জানা নেই।বীরভূমে তৃণমূলের ভিত কে তৈরি করেছেন? কারও না কারও তো অবদান আছে সেই ভিতে।সেই অবদান তো ভুললে চলবে না।সেই ভিত যিনি তৈরি করেছেন,সেই মানুষকে আমরা শ্রদ্ধা করি।’
আরও পড়ুন – মনোনয়নে বিরোধীদের ‘বাধা’-র অভিযোগ ওড়ালেন অভিষেক,
এদিকে কেরিম খান টিকিট পাচ্ছেন না বলে গুঞ্জন ছড়ানোর পর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।আর কাজল শেখ আজ মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর যেন একেবারে অন্য মানুষ।অনুব্রতর সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বের বিষয়ে প্রশ্ন করতেই বললেন,”সেসব বলা হত।কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল হলেন আমার রাজনৈতিক গুরু।আমার অভিভাবক।বীরভূমে এখনও তৃণমূলের যে সংগঠন রয়েছে,সেটা তিনিই তৈরি করে গিয়েছেন। ‘টিম অনুব্রত’ বীরভূম জেলায় কাজ করছে।আমি সেই ‘টিম অনুব্রত’-র একজন সদস্য।”