রথযাত্রার আগেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অঘটন!অশনী সংকেত? ফাটল দেবী সুভদ্রার রথের চাকায়,মঙ্গলবার পুরীতে রথযাত্রা উৎসব।লাখ লাখ ভক্তের সমাগম হবে জগন্নাথধামে।তার মধ্যেই এবার অঘটল ঘটল।দেবী সুভদ্রার রথের চাকায় ফাটল দেখা গলে। মহোৎসবের মাত্র তিনদিন আগে এই ঘটনায় অশনী সংকেত দেখছেন জগন্নাথ ভক্তরা।জানা গিয়েছে,দেবী সুভদ্রার দর্পদালান রথের একটা চাকায় এই ফাটল ধরা পড়েছে।ইতিমধ্যেই সেটি মেরামত শুরু করে দিয়েছেন চাকা নির্মাণে নিযুক্ত কর্মীরা।হাতে বাকি আর মোটে তিনদিন।রথযাত্রা উপলক্ষে জগন্নাথধামে চলছে চূড়ান্ত মুহূর্তের প্রস্তুতি।ভগবান জগন্নাথ,বলরাম এবং দেবী সুভদ্রার রথে শেষ মুহূর্তের তুলির টান চলছে।তার মধ্যেই এই আঘটনে আশঙ্কার মেঘ দেখছেন ভক্তরা।
আশঙ্কার মেঘ জগন্নাথধামে
এক বর্ষীয়ান দ্বৈতাপতি বিনায়ক দশমহাপাত্র বলেন,”আমরা দেবী সুভদ্রার রথের চাকায় একটি ফাটল দেখতে পেয়েছি।২০১৭ সালে যে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল,তা যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে তাই জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন এবং সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ,দ্রুত এই ফাটল মেরামত করা হোক।”তাঁর যদিও আশঙ্কা,আদৌ এই ফাটলের বিষয়টি প্রশাসনের তরফে টেকনিক্যাল কমিটির কাছে জানানো হয়েছে কি না।
দ্বৈতাপতি বিনায়ক দশমহাপাত্রর আরও সংযোজন,”আপাতত আমরা আয়রন ক্ল্যাম্পের সাহায্য দেবী সুভদ্রার রথের ওই নির্দিষ্ট চাকাটি কিছুটা মেরামত করার চেষ্টা করেছি।কিন্তু,এতে রথটি আদৌ কতটা নিরাপদ তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।মঙ্গলবার রথযাত্রার সময় এই রথ টানা কতটা নিরাপদ তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।”
কী বক্তব্য মন্দির কমিটির?
এদিকে,দেবী সুভদ্রার রথের চাকায় ফাটলের খবর প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ভক্তরা।জগন্নাথ ভক্তদের আশঙ্কার কথা চিন্তা করেই একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করে মন্দিরের টেকনিক্যাল কমিটি।এই টেকনিক্যাল কোর কমিটির মুখ্য প্রযুক্তিগত আধিকারিক এন সি পাল বলেন,”রথের চাকায় ফাটল তেমন বড় নয়।এতে খুব বেশি বিপদের আশঙ্কা নেই।”
আরও পড়ুন – পুরীর রথযাত্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হতে পারে, বিশেষ বার্তা ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন…
দেবী সুভদ্রার রথের চাকায় ফাটল!
সূত্রের খবর,দেবী সুভদ্রার রথের চাকার যে অংশটিতে ফাটল দেখা গিয়েছে সেটি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।আয়রন ক্ল্যাম্প লাগিয়ে তার উপর রঙের প্রলেপ দেওয়া হচ্ছে।ফলে ২০ জুন রথযাত্রা উৎসবের সময় চাকা বসে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।সঠিকভাবে মেরামতি না হলে রথের দিন সমস্যা তৈরি হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।