পঞ্চায়েত সদস্য পদ বাতিল হতে পারে কী কী কারণে?পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার থেকেই উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই সেই ভোটের মনোনয়ন জমার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন ত্রিস্তরীয়।গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের জন্য এই নির্বাচন হয়।এই তিন পদে বিভিন্ন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন প্রার্থীরা।সেই ভোটে জিতলে প্রার্থীরা গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্য হন।কিন্তু কোন কোন কারণে এক জন গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যের সদস্যপদ বাতিল হতে পারে,তার বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায়।আবার কোন কোন ক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্য হতে পারবেন না কোনও ব্যক্তি তার উল্লেখও রয়েছে।
এই সব কারণে কোনও ব্যক্তি গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্য হতে পারবেন না বা সদস্য পদ হারাবেন-
১) কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার বা গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে চাকরি করলে।
২) গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি,জেলা পরিষদের সঙ্গে প্রার্থীর সরাসরি কোনও সম্পর্ক থাকলে বা সরাসরি রোজগারে যুক্ত থাকলে।
৩) রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকার বা সমবায়ের চাকরি থেকে খারাপ আচরণের কারণে বরখাস্তের হওয়ার পাঁচ বছর না পেরোলে।
৪) গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের কোনও সদস্য বিধানসভা,লোকসভা বা অন্য কোনও নির্বাচনে জিতলে তাঁর সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাবে।
৫)পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদের সদস্য গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।একই ভাবে গ্রাম পঞ্চায়েত বা জেলা পরিষদের সদস্য হলে পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতির কোনও সদস্য জেলা পরিষদে প্রার্থী হতে পারবেন না।
৬) কোনও মামলায় আদালতে ৬ মাসের বেশি সাজা দিলে।সেই সঙ্গে গত পাঁচ বছরে পঞ্চায়েত আইনের কোনও ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে।
আরও পড়ুন – উত্তর সিকিমে আটকে প্রায় ২০০০ পর্যটক! চলছে উদ্ধারকাজ,
ভোটে জিতলে প্রার্থীরা গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্য হন।কিন্তু কোন কোন কারণে এক জন গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যের সদস্যপদ বাতিল হতে পারে,তার বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায়।