অবশেষে ‘স্বীকার’ করল কমিশন ,পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হিংসায় বাংলায় মৃত ৪, ৮ জুন ঘোষণা হয়েছিল ভোটের (Panchayat Elections 2023) দিনক্ষণ। ১৫ জুন ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। এদিকে মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে লাগাতার আসতে থাকে অশান্তির খবর। শুরুর দিনেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খড়গ্রামে মৃত্যু হয় এক কংগ্রেস কর্মীর। যা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠিও দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তারপর থেকে ক্যানিং, ভাঙড়, ইন্দাস, চোপড়া, রাজ্যের নানা প্রান্তে ঝরেছে রক্ত। প্রাণ গিয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দলের কর্মীদের। যদিও ১৬ জুন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের তরফে পাওয়া খবরে খাতায়-কলমে মৃত্যু ছিল শূন্যই। যা নিয়ে বিস্তর চাপানউতর তৈরি হয় বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে। এখনও পর্যন্ত অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে গোটা রাজ্যে প্রাক-নির্বাচনী হিংসায় মৃত্যুর সংখ্যা ৭। যদিও অবশেষে মৃত্যুর কথা স্বীকার করে নিল কমিশনও।
প্রসঙ্গত, আগামী ৮ জুলাই এক দফায় হতে চলেছে পঞ্চায়েত ভোট। ১১ জুলাই ফলপ্রকাশ। অন্যদিকে ভোটের ময়দানে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কী থাকবে না তা নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছিল। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। শেষ পর্যন্ত, ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর সিদ্ধান্ত হয়। যদিও কোর্টের নির্দেশেই বর্তমানে তা এক ধাক্কায় বেড়ে হয়েছে গিয়েছে ৮২২। যদিও তারপরেও আরও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে শুক্রবার আদলতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন – প্রতি বিন্দু রক্তপাতের জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন, মন্তব্য রাজ্যপালের
কমিশনের গত শুক্রবারের রিপোর্ট বলছিল গোটা রাজ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে ৩৪টি। আহত হয়েছেন ১০৪ জন। যদিও এক সপ্তাহের মধ্য়ে আহতের সংখ্য়া বেড়ে হয়ে গেল ২১৩। বুধবার পর্যন্ত কমিশনের রিপোর্ট বলছে প্রাক-ভোট হিংসায় এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ১৪৪ টি অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। গ্রেফতার ৬৬৮১ জন। কিন্তু কোথায় কতজনের মৃত্যু, কিভাবে মৃত্যু, সেটা স্পষ্ট করেনি কমিশন। পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই কমিশন এই তথ্য জানিয়েছে বলে খবর।