যৌনখিদে ও লজ্জা, কোনওটাই আমার নেই বললেন কাজল , ‘লাস্ট’– এই ইংরেজি শব্দের বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় কামলালসা, যৌনখিদে ইত্যাদি। এবার এক সাক্ষাৎকারে এই ‘লাস্ট’ নিয়েই সোজাসাপটা উত্তর কাজলের। বলেই ফেললেন, যৌনখিদে, যৌনলালসা কোনওটাই তাঁর নেই। শুধু কি তাই, নেই লজ্জাও। তবে হঠাৎ এমন এক বিষয়ে কেন মুখ খুললেন কাজল? হিট ওয়েব সিরিজ ‘লাস্ট সিরিজ’-এর দ্বিতীয় পার্টে দেখা যাবে তাঁকে। অমিত শর্মার এই সিরিজ মুক্তি পাবে নেটফ্লিক্সে। আর সেখানেই যৌন আকাঙ্ক্ষা নিয়ে কথা বলতে গিয়েই কাজল জানান, এই ব্যাপারটি সিনেমার পর্দায় চরিত্রের প্রয়োজনে ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে ব্যাপক বেগ পেতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর কথায়, “জীবনে দুটো জিনিস আমার নেই। সেক্সি আর লজ্জা। কেউ যদি বলে, “এই একটু লজ্জা পাও’, আমি তাঁকে পাল্টা জিজ্ঞাসা করি, “কীভাবে পাব বলে দাও”। ওরা আমায় দেখিয়ে দেয়, আর তখনই চোখ টোখ নিচু করে আমি লজ্জা পাই। আমার মধ্যে ওই অনুভূতিটাই নেই, কিন্তু যদি আমায় বলে দেওয়া হয় আমি ঠিক করে নিই।”
প্রসঙ্গত, কাজলের ওই সিরিজে থাকছেন বলিপাড়ার আরও বেশ কিছু নামজাদারা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন, কুমুদ মিশ্র, তামান্না ভাটিয়া, বিজয় বর্মা, ম্রুনাল ঠাকুর, নীনা গুপ্তসহ অনেকেই। এই মাসেরই ২৯ তারিখ নেটফ্লিক্সে দেখা যাবে এই সিরিজ।
আরও পড়ুন – ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর বিচার চাইতে, তৃণমূলকে ‘শিক্ষা’ দিতে নির্বাচনী ময়দানে আনিসের…
এ প্রসঙ্গে এক ছবির কথাও তুলে ধরেছেন কাজল। কাজলের মনে পড়ছে ১৯৯৪ সালের কথা। যখন সইফ আলি খানের সঙ্গে তাঁর ছবি ‘হোটো পে ব্যস তেরা নাম হ্যায়’ মুক্তি পেয়েছিল। পরিচালক ছিলেন নরেশ মালহোত্রা। কাজল জানান, সইফের সঙ্গে রোম্যান্টিক দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল দু’জনকে। তাঁরা দু’জনে এতটাই হেসেছিলেন যে কোরিওগ্রাফার সরোজ খানের বকা পর্যন্ত শুনতে হয়েছিলে তাঁদের।তাঁর কথায়, “সরোজজি আমাদের মারতে পর্যন্ত চেয়েছিলেন।আমাদের বলেছিলেন, “তোমরা বেশ অসভ্য’।আমাকে প্রতিবার বলতে হয়, এডিটে দেখে নিও। একটু সামলে নিও।”তবে লাস্টের মানে যে শুধু যৌনতা সম্পর্কিত এমনটা মানতে কিন্তু নারাজ কাজল।তিনি মনে করেন,কোনও বস্তুর প্রতি মারাত্মক টান থাকলেই সেই টানকে ‘লাস্ট’-এর তকমা দেওয়া যায়।তা সে খাবারই হোক বা অন্য কিছু।