বুথের সংগঠন মজবুত চাই, মঙ্গলবার কর্মীদের টোটকা মোদীর , বাংলায় এখন পঞ্চায়েত ভোটের আবহ। সামনেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন।তার পরে পরেই লোকসভা ভোট।এই পরিস্থিতি মাথায় রেখে মঙ্গলবার দেশের ১০ লাখ বুথের বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।দিল্লি নয়, মঙ্গলবার মোদীর ‘মেরা বুথ, সবসে মজবুত’ কর্মসূচি হবে ভোপালে।সেখান থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেশের সব রাজ্যের বুথস্তরের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন মোদী।রাজ্য বিজেপির পরিকল্পনা,রাজ্যের প্রতিটি সাংগঠনিক মণ্ডলে হবে কর্মসূচি।বুথের কর্মীরা সেখানে এসে মোদীর কথা শুনবেন।
এই কর্মসূচি হবে মোতিলাল নেহরু স্টেডিয়ামে।ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশের বুথকর্মীদের একটা বড় অংশকে সেখানে হাজির করবে বিজেপি।এ ছাড়াও দেশের প্রতিটি লোকসভা এলাকা থেকে পাঁচ জনের প্রতিনিধি দল আসবে।বাংলাতেও সেই নির্দেশ এসেছে। তবে পঞ্চায়েতের আবহে সব লোকসভা এলাকা থেকে প্রতিনিধি না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি।কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সেই আর্জি মেনেও নিয়েছেন।বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা ও আশপাশের এলাকা থেকে মোট ১৬ জন মঙ্গলবার ভোপালের কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাবেন।সুকান্ত বলেন,‘‘রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন চলায় বুথকর্মী থেকে রাজ্য নেতা সকলেই ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে শহর এলাকার ১৬ জন ভোপালে যাবেন।বাকিরা এখান থেকেই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।’’
আরও পড়ুন – পাসপোর্ট নিয়ে বড় ঘোষণা বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের
বিজেপি যে সব রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে সেখানে বুথ স্তরের সংগঠনেই দলের জোর সবচেয়ে বেশি।বাংলাতেও ক্ষমতায় আসতে হলে সেটা করতে হবে বলে বারবার নির্দেশ দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।গত লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে বাংলাতেও ‘মেরা বুথ,সবসে মজবুত’কর্মসূচি নিয়েছিল।সর্বত্র সাফল্য না পেলেও যেখানে যেখানে কাজ বেশি হয়েছে সেখানেই দল জয় পায় বলে বিজেপি শিবিরই মনে করে।অন্যত্র বিজেপি সব বুথে এজেন্ট বসাতেও পারেনি।সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হওয়ার পরে নতুন করে এই কাজ শুরু করেন।এর ফলেই বাংলায় এ বার বিজেপি অতীতের তুলনায় বেশি প্রার্থী পঞ্চায়েত নির্বাচনে দিতে পেরেছে বলেই মনে করে গেরুয়া শিবির।এ বার ভোটের আবহেই মোদীর কর্মসূচি বিজেপির বুথ স্তরের কর্মীদের আরও চাঙ্গা করবে বলেই মনে করছেন সুকান্ত।তিনি বলেন,‘‘রাজ্যে এই কর্মসূচি সর্বত্র পালিত হবে।প্রতিটি মণ্ডলে বুথের কর্মীরা জড়ো হবেন।মোদীজির বক্তব্য সব সময়েই আমাদের প্রেরণা দেয়।এ বারেও কর্মীরা অধীর আগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর কথা শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন।’’