‘ভোটকেন্দ্রে পৌঁছতে পারবেন তো’? হুমকি নানুরের নেতা কাজল শেখের ,অনুব্রত-হীন বীরভূমে এবার দেদার ভোট প্রচারে দেখা যাচ্ছে কাজল শেখকে। গরম গরম কথাও বলছেন বেশ। কীর্ণাহারে রবিবার ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূলের এই নেতা। আর সেখানে রীতিমতো হুমকি দিতে শোনা গেল বিরোধীদের। বিরোধীদের কাজলের বার্তা, ভোটের দিন রাস্তায় হাজার হাজার কাজল শেখ দাঁড়িয়ে থাকবে। ভোটের দিন আনাচে কানাচে ঘুরবে তাঁর লোক। সব নজর রাখবেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোট এলে বাকি জেলা একদিকে থাকত, আরেকদিকে থাকত বীরভূম। ‘সৌজন্যে’ এ জেলার ‘হেভিওয়েট’ নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এই প্রথমবার ভোট হচ্ছে জেলায়, অথচ অনুব্রত নেই। সুদূর দিল্লির তিহাড় জেলে বসে তিনি। ‘কেষ্ট’ জেলে যেতেই দলের অন্দরে ‘দর’ বেড়েছে নানুরের তৃণমূল নেতা কাজলের। জেলার কোর কমিটিতে এসেছেন তিনি।
বীরভূমে একটা সময় কাজল শেখের দাপট অনুব্রত মণ্ডলের থেকে কোনও অংশে কম ছিল না। তবে রাজনীতির কারবারিরা বলেন, জেলার সংগঠনে অনুব্রতর ক্ষমতা যত বাড়তে শুরু করে, ক্রমেই কোণঠাসা হতে থাকেন কাজল। নানুরের গদাধর হাজরাকে প্রচারের আলোয় আনতে থাকেন অনুব্রত। আবছা হতে থাকেন কাজল। এক সময় ভাল সমীকরণ থাকলেও পরে জেলার রাজনীতিতে কাজল-গদাধরের দ্বৈরথ কারও অজানা নয়। যদিও সম্প্রতি তাঁদের এক মঞ্চে দেখাও গিয়েছে। একসঙ্গে নতুন করে পথ চলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কাজল শেখ নিজেই। সেই কাজলকে ভোটের আবহে এবার গরম গরম ভাষণ দিতেও দেখা যাচ্ছে।
সেই কাজলই রবিবার কীর্ণাহারে ভোট প্রচারে গিয়ে বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, “এখানে ১৫টা অঞ্চলে ভোট নেই। ১৭টার মধ্যে ২টো আছে। কীর্ণাহার ১, জিকে ১-এ। এই দু’টোতে আমার মতো হাজার হাজার কাজল শেখ দাঁড়িয়ে থাকবে। বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন তো? ভোটকেন্দ্রে পৌঁছতে পারবেন তো? মিলিয়ে নেবেন কথাটা। থাকব যখন বলেছি, থাকবই।”
আরও পড়ুন – যুবনেত্রী সায়নীর ১৯ লক্ষ টাকার হিসেব খুঁজতে মরিয়া ED ,
এ নিয়ে পরে কাজল শেখের ব্যাখ্যা, “আমার কথা খুব স্পষ্ট। যাঁরা ধর্মের নামে রাজনীতি করবে, অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে রাজনীতি করবে, মানুষকে ভুল পথে চালাতে চাইবে, তাঁদের উদ্দেশে এই বার্তা। কী করব সেটা সময়ই বলবে। সেদিন আসবেন দেখতে পাবেন।”