সাহায্য করছেন না আত্মীয়রা ! মামলার খরচ জোগাড় করতে জামিনের আর্জি সুকন্যার , এখনও পর্যন্ত তদন্তে অনুব্রতর ১২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার হিসাব পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিকভাবে ইডি আধিকারিকদের দাবি, এটাই গরু পাচার থেকে অনুব্রতর আয়। সঙ্গে কারবারিদের থেকে পাওয়া ঘুষের টাকায় ৪৮ কোটির সম্পত্তি গড়ে তুলেছিলেন। সেই অনুব্রত কন্যার এখন মামলা লড়বার টাকা পর্যন্ত নেই। আর্থিক অনটনের মুখে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। সুকন্যা অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করতে চান। কিন্তু মামলা লড়বার জন্য আইনজীবীদের টাকাও দিতে পারছেন না সুকন্যা।
রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে সুকন্যা মণ্ডল দাবি করেছেন, তাঁর কাছে বর্তমানে কোনও টাকাই নেই। আত্মীয় পরিজনরাও তাঁকে সাহায্য করছেন না। জেলে বসে টাকা জোগাড় করার তাঁর কোনও উপায়ও নেই। তাই তিনি অন্তবর্তী জামিন চাইছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ জুলাই।
সুকন্যা মণ্ডল এবার আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জানালেন তিনি মামলা লড়ার টাকা জোগাড় করতে পারছেন না। এই যুক্তি দেখিয়ে তিনি আদালতে ৬ সপ্তাহের জন্য জামিনের আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, এই সময়ের মধ্যে তিনি টাকা জোগাড় করে আইনজীবীদের দেবেন।
সুকন্যা এর আগেও জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন। সোমবার দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিশেষ আদালতের বিচারক রঘুবীর সিংহ সুকন্যার আর্জি শুনে, তার প্রেক্ষিতে ইডি-র কী বক্তব্য, তা জানতে চেয়েছেন। উল্লেখ্য, এই বিচারকের বেঞ্চেই বিচারাধীন ছিল অনুব্রত মণ্ডলের মামলাটিও। তিনি বারবার বিচারকের কাছে আর্জি জানিয়েও জামিন না পাওয়ায় মামলা সরানোর আবেদন জানান।
আরও পড়ুন – রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে কমিশনকে চিঠি বক্সির
আগেরবার সুকন্যা যখন জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন, তখন ইডির বক্তব্য ছিল সুকন্যা প্রভাবশালী। জামিনে মুক্তি পেলে তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন। যদিও জেরায় সুকন্যা বারবার দাবি করেছেন, গরু পাচারের কিছুই তিনি জানতেন না। যদিও ইডি-র বক্তব্য, পাচারে কাল টাকা সাদা করার দায়িত্ব কাজটাই করতেন সুকন্যা।