প্রচারের শেষ দিনে ফের রাজ্যজুড়ে তৃণমূল থেকে ৯৬ জনকে বহিষ্কার , প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন, নির্দল একজনকেও বরদাস্ত করা হবে না। গোঁজ প্রার্থীদের দল থেকে বহিষ্কারের কথাও বলে দিয়েছিলেন তাঁরা। ভোটের মুখে তৃণমূল থেকে ৯৬ জনকে বহিষ্কার, এরমধ্যে রয়েছে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমের সদস্যরা। দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম থেকে বহিষ্কৃতের সংখ্যা সবথেকে বেশি। পশ্চিম মেদিনীপুরে ২২ জন এবং পূর্ব মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম থেকে ২১ জন করে। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁদের বহিষ্কার করেছে দল।
শনিবার পঞ্চায়েত ভোট। ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ হবে, এমনটাই নিয়ম। সেইমতো আজ বৃহস্পতিবারই প্রচার শেষ। প্রচারের শেষবেলায়ও তৃণমূল নির্দল কাঁটা উপড়ে ফেলতে বদ্ধপরিকর। একলপ্তে ১০০ জনের কাছাকাছি বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত। সার্বিকভাবে এই সংখ্যাকে খুব বেশি মনে না হলেও নিঃসন্দেহে পঞ্চায়েত স্তরে প্রত্যেক কর্মী সমর্থকই দলের ভোটব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। তবে প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন, নির্দল একজনকেও বরদাস্ত করা হবে না। গোঁজ প্রার্থীদের দল থেকে বহিষ্কারের কথাও বলে দিয়েছিলেন তাঁরা। সে ছবিই দেখা গেল গত কয়েকদিনে।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বৃহস্পতিবার তমলুকে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, মহিষাদলের ৩ জন, দেশপ্রাণের ২ জন, কোলাঘাটের ২ জন, পাঁশকুড়ার ১৫ জনকে বহিষ্কার করা হল দল থেকে। দলবিরোধী কাজ ও স্বাধীন নির্দল প্রার্থী হয়ে দলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান সৌমেন মহাপাত্র।
আরও পড়ুন – ‘উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অফার দিয়েছিল’ বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর ,
অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের ১২ জন , দাসপুর-১ ব্লকের ৪ জন, মোহনপুরের ৬ জন রয়েছে। ঝাড়গ্রামের বিনপুর-১ ব্লক থেকেই মোট ২১ জনকে এদিন বহিষ্কার করেছে দল। নদিয়ায় শান্তিপুর, রানাঘাট, হাঁসখালি মিলিয়ে ৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বীরভূমের ক্ষেত্রে খয়রাশোল ও রামপুরহাট-১ ব্লক মিলিয়ে ৫ জন। মুর্শিদাবাদের লালগোলার ৪ জনও রয়েছেন তালিকায়। এছাড়া হাওড়ার ডোমজুড়ের ১ জন এবং হুগলির জাঙ্গিপাড়ার ১৬ জন রয়েছেন তালিকায়।