সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধনের পর ভোটমুখী ছত্তীসগঢ় সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদী।২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে পা রাখবেন তিনি।৬ লেনের গ্রিনফিল্ড রায়পুর–বিশাখাপত্তনম করিডোরের জন্য, তিনি ছত্তীসগঢ়ে তিনটি জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।এর মধ্যে অন্যতম, ২.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এক ৬-লেনের টানেল। টানেলটি উদন্তি অভয়ারণ্য এলাকায় হওয়ায়,সেখানে বহু বন্যপ্রাণী চলাচল করে। রাস্তা পারাপারে তাদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য যেখানে ২৭টি পশু চলাচলের পথ রাখা হচ্ছে।বানররা যাতে অবাধে যাতায়াত করতে পারে,তার জন্য ১৭টি গাছগাছালিতে ছাওয়া জায়গা থাকছে।ওই গাছগুলির ডাল বেয়ে সহজেই তারা রাস্তা পারাপার করতে পারবে।
৭ জুলাই ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে এক বড় জনসভাও করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।এই সভায় লক্ষ লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে বলে দাবি করছে রাজ্য বিজেপি।এর আগে রাজ্যে সবা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।জনসভার আগে,রায়পুরে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করারও কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।চলতি বছরের শেষেই বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা এই রাজ্যে। ছত্তীসগঢ়ে বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস।তবে,কংগ্রেসের অন্দরে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ক্রমে প্রকট হয়ে উঠছে।এই অবস্থায় রাজ্যে পা রাখতে চাইছে অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টিও। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং কেজরীবালের ইতিমধ্য়েই ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে একটি বড় সমাবেশ করেছেন।সেই সবার ভিড় নিয়ে ছত্তীসগঢ়ের রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা চলছে।
আরও পড়ুন – শেষ দিনের প্রচারে ফের ‘নো ভোট টু মমতা’শুভেন্দু অধিকারীর গলায় ,
সড়ক উন্নয়নের কারণে যাতে বন্যপ্রাণীদের কোনও ক্ষতি না হয়, সেই দিকে নজর দিতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।তাঁর সেই দৃষ্টিভঙ্গি মেনেই এই টানেল এবং মহাসড়ক প্রকল্পগুলি তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।বস্তুত,এই মহাসড়কগুলির উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রেই শুধু নয়,প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে বেশ কিছু সড়ক প্রকল্পের ক্ষেত্রেই বন্যপ্রাণীদের যাতে প্রাকৃতিক আবাসের ক্ষতি না হয়,সেই দিকে খেয়াল রাখা হয়।জাতীয় মহাসড়ক বা এক্সপ্রেসওয়েগুলির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বন্যপ্রাণ এবং তাদের বাসস্থান নিরাপদ রাখা ভারতের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দিল্লি-দেরাদুন অর্থনৈতিক করিডোরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হলে,১২ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই রাস্তাটিই হবে এশিয়ার দীর্ঘতম রাস্তা,যেখানে বন্যপ্রাণী চলাচলের জন্য পৃথক জায়গা রাখা হয়েছে।