ফের অশান্তির ঘটনা মণিপুরে ,হিংসার বলি ৪, ফের রক্তাক্ত হল মণিপুর। নতুন করে হিংসায় ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে একজন কিশোর ও পুলিশ কর্মী রয়েছে। নতুন করে মৃত্যুর ঘটনায় মণিপুরে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল অন্তত ১২০। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মণিপুরের বিষ্ণুপুর ও চূড়াচাঁদপুর সীমানা এলাকায় নতুন করে হিংসার ঘটনাটি ঘটে। চার জনের মৃত্যুর পাশাপাশি বেশ কয়েকজন জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
হিংসার অন্য ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপর জেলায়। ফউবাকচো এলাকায় এক দুষ্কৃতী নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। সেই সময় নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে গিয়ে এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। জেলারই মোইরাং এলাকায় দুষ্কৃতীর গুলিতে প্রাণ হারায় মণিপুর পুলিশের এক কমান্ডোর। এরফলে দুই জেলায় হিংসার ঘটনায় মোট চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর কয়েকদিন আগে রাজ্যের স্কুলগুলি খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং।হিংসা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিকও হয়েছিল।কিন্তু নতুন করে ফের হিংসার ঘটনা ঘটনায়, প্রশাসনের উপর তৈরি হয়েছে চাপ। এদিকে,মণিপুর পুলিশের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে নতুন করে দু’টি জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটলেও, অন্যান্য অংশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।নিরাপত্তাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
পূর্ব ইম্ফল,ইম্ফল পশ্চিম, চুড়াচাঁদপুর, বিষ্ণুপুর এবং কাকচিং জেলায় দুর্বৃত্তদের তৈরি ১৮টি বাঙ্কার গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।এছাড়া পূর্ব ইম্ফলের একটি জায়গায় নিরাপত্তাবাহিনী অভিযান চালিয়ে পাঁচটি অত্যাধুনির অস্ত্র, ৭৪টি গোলাবারুদ,বিস্ফোরক এবং পাঁচটি হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করেছে। এছাড়া, হিংসার ঘটনা রুখতে মণিপুরের বিভিন্ন জেলায় ও পাহাড় উপত্যকায় প্রায় ১২টি নাকা চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,শুক্রবার গভীর রাতে চূড়াচাঁদপুরের একটি গ্রামে হামলা চালালে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়।কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে গুলির লড়াই। এই গুলির লড়াইয়ের সময় দুই জনের মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি। জখম হয় বেশ কয়েকজন।সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় নিরাপত্তাবাহিনী।এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক।
আরও পড়ুন- স্যুইগি, অ্যামাজ়ন, জ়্যোম্যাটোর মতো খাবার সরবরাহকারীদের পাশে কংগ্রেস সরকার