রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের দাদাগিরির ফাঁকা মাঠে গোল সিপিএমের, ছাপ্পা মারার অভিযোগ উঠল বাদুড়িয়াতে , পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটছে। জেলায় জেলায় গুলি চালনা, বোমাবাজি ও দেদার ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাঠগড়ায় শাসকদল তৃণমূল। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনায় বাদুড়িয়াতে ঘটল এক অবাক করা ঘটনায়।
বাম আমলে বিভিন্ন ভোটে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে দেদার সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে। জেলায় জেলায় বুথ দখল, খুন, দেদার ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। বাম আমলে সিপিএমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সুর সপ্তমে নিয়ে যান তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন একবার ফের সিপিএমের বিরুদ্ধে ছাপ্পা মারার অভিযোগ উঠল।ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্যের একাধিক প্রান্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঝরে গিয়েছে ১২টি তরতাজা প্রাণ। ভোটে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ কোথাও পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সক্রিয়া ভূমিকায় দেখা যায়নি।
উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাটের বাদুড়িয়া ব্লকের আঠুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮৩ এবং ১৮৪ নম্বর বুথের বেশ কিছু ব্যালট পেপার চুরি হয়ে যায়। এরপর সিপিএম, কংগ্রেস ও আইএসএফের পক্ষ থেকে আটুরিয়া বাজারে রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়য।। ঘটনাস্থলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ এলাকাবাসীদের। বিক্ষোভের মুখে পিছু হটল পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে অবরোধ তুলে দেয়। পুলিশের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তারা সমস্ত বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন – ‘এত নোংরামি বাংলার নির্বাচনের ইতিহাসে হয়নি’, দাবি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন…
বাদুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে দেদার ছাপ্পা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযোগের তির সিপিএমের দিকে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, একের পর এক ব্যালট পেপারে সিপিএমের প্রতীকের উপর ছাপ মারছেন একজন। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে।আর এই নিয়ে শাসকদলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছে তৃণমূল। শাসকদলের অফিসিয়াল টুইটার পেজ থেকে ভিডিয়োটি টুইট করে লেখা হয়েছে, ‘দীর্ঘদিনের বাম শাসনে ভোটে সিপিএমের জালিয়াতি এবং কারচুপির নির্দশন এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধরা পড়ছে। বাদুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএমকে ছাপ্পা ভোট দিতে দেখা গিয়েছে।’