তিহাড়ে হঠাৎ অসুস্থ অনুব্রত কন্যা, নিয়ে যাওয়া হয় জেল হাসপাতালে,বান্ধবী সুতপার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেলেন সুকন্যা , আচমকাই খানিক অসুস্থ হয়ে পড়েন তিহাড় জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। সূত্রের খবর, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জেল হাসপাতালে।এদিকে, বুধবার অবশেষে প্রিয় বান্ধবীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেলেন অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা।দিল্লিতে ছুটে গেলেন বান্ধবী সুতপা।রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে সুকন্যা মণ্ডলকে হাজিরার জন্য আনা হয়েছিল।সেখানেই তাঁদের সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়। এজলাসের এক কোণায় দীর্ঘক্ষণ আলাপচারিতার সুযোগ পান দুই বান্ধবী।
এদিন সকালে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে গোরু পাচার মামলার শুনানিতে অভিযুক্তরা আদালতে অনুপস্থিত থাকায় প্রথমটায় বিস্মিত হন বিচারক।সকাল ১০টা নাগাদ শুনানিতে হাজিরা দেননি অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল,সায়গল হোসেন,মণীশ কোঠারি,এবং সতীশ কুমার।বিস্মিত বিচারক রঘুবীর সিং ED-র আইনজীবী নীতেশ রানাকে প্রশ্ন করেন,কেন অভিযুক্তরা আদালতে নেই?এরপর সকাল ১১টা নাগাদ ফের অনুব্রত মণ্ডল সহ গোরু পাচার মামলায় সকল অভিযুক্তকে হাজিরার নির্দেশ দেন।অবশেষে এরপর ভিডিয়ো কনফারেন্সে হাজিরা দেন অনুব্রত।সশরীরে হাজির হন সুকন্যা মণ্ডল। এদিন, গোরু পাচারকাণ্ডের অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানায় ED।সকল অভিযুক্তকেই আগামী ১৮ অগাস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত।
গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার তিহাড় জেলযাত্রার সময় সুকন্যা মণ্ডলের জন্য হাপুস নয়নে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল প্রিয় বান্ধবী সুতপাকে।সুকন্যা যখন দিল্লিতে ED দফতরে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুতপাও। তিনি বলেছিলেন,“আমাকেও গ্রেফতার করে নিন। তাহলে অন্তত একসঙ্গে থাকতে পারব।”সুকন্যা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু,সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়।বান্ধবীর সঙ্গে রোজ ১০ মিনিট করে ফোনে কথা বলারও আর্জি জানিয়েছিলেন কেষ্ট কন্যা।কিন্তু,সেই অনুমতিও দেওয়া হয়নি তাঁকে।
আরও পড়ুন – ‘বাঘ’ ছাড়াই বীরভূমে ব্যাপক ফল তৃণমূলের, তিহাড়ে থেকেও নজর ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের…
ফলে অবশেষে সুতপার সঙ্গে দেখা করতে পেরে স্বস্তি পেলেন কেষ্ট কন্যা।সূত্রের খবর,দু’জনের এই দীর্ঘ আলাপচারিতায় সুকন্যা বান্ধবীর শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চান। সুতপা দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারে আক্রান্ত।তাঁর চিকিৎসার যাবতীয় খরচও জুগিয়ে এসেছেন সুকন্যাই।ফলে তিহাড়বন্দি হওয়ার পর থেকে বান্ধবীর জন্য মন ব্যাকুল ছিল তাঁর।