নরকঙ্কালের মুন্ডু! ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের দিঘিতে ভেসে উঠল নরকঙ্কাল, বুউদয়পুর মাতাবাড়ি কল্যাণ দিঘির জলে পাওয়া গেল নরকঙ্কালের মুন্ডু। বুধবার সকালে ওই দিঘির জলে মুন্ডুটিকে ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেন পুলিশের কাছে।পুলিশ ওই নরকঙ্কালের মুন্ডু উদ্ধার করে।এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এই ঘটনা ঘিরে অশনি সংকেত দেখছেন মন্দিরের পুরোহিতরা। তাঁরা ধারণা,বাইরে থেকে কেউ বা কারা হয়ত কল্যাণ সাগর দিঘিতে এই নরমুন্ডের কঙ্কালটি ফেলে দিয়ে থাকতে পারে। মাতাবাড়ি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত চন্দন চক্রবর্তী এবং মন্দিরের প্রশাসক মানিক দত্ত বলেন,’কল্যান সাগরের দীঘির জল বড়ই পবিত্র। এখানে কোনও ভাবেই নর কঙ্কাল থাকার কথা নয়।তবে পবিত্র এই দিঘির জলে নর কঙ্কাল ভেসে ওঠাকে ভালো ভাবে নেওয়া যাচ্ছে না।’আগামীদিনে শাস্ত্র বিধি মেনে এই জলকে শোধন করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তাঁরা।মাতাবাড়ি পঞ্চায়েত প্রধান মন্টু চন্দ্র দাস বলেন,’এই বিষয়টিকে আমরা কেউই হালকা ভাবে নিচ্ছি না।আমরা পুলিশকে বলেছিল দ্রুত তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।পুলিশ কঙ্কালটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে।’
এক পুলিশ আধিকারিক বলেন,’এটি নর কঙ্কালের মুন্ডু বলেই মনে হচ্ছে।তবে কোথা থেকে এই দীঘিতে নর কঙ্কালের মুন্ডটি এল তা এখনই বলা যাচ্ছে না।আবার আগে থেকেই এখানে কঙ্কালটি থাকতে পারে এমনও বলা যাচ্ছে না।সবকিছুই তদন্তের পর জানা যাবে।’
উল্লেখ্য,আগরতলা থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার এবং উদয়পুর শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির ১৫০১ সালে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন মহারাজা ধন্যমাণিক্য।এই মন্দিরটিকে ৫১টি পীঠের একটি মনে করা হয়।মা কালীকে মাতা ত্রিপুরেশ্বরী রূপে এই মন্দিরে পুজো দেওয়া হয়৷ওই মন্দিরের পাশে এই দীঘি।
আরও পড়ুন – বড় ঘোষণা, ভোটে নিহতদের পরিবারের একজনকে চাকরি ও আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
কিভাবে এবং কোথা থেকে এই মুন্ডু সেখানে এল তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। দিকে,ত্রিপুরার বাসিন্দাদের কাছে ত্রিপুরা সুন্দরী তথা মাতাবাড়ি খুবই বিশ্বাসের জায়গা।এরই সঙ্গে মাতাবাড়ি মন্দিরের কল্যাণ দিঘিকে খুবই পবিত্র বলে মনে করেন তাঁরা।সেখানেই এদিন নরকঙ্কালের মুন্ডু পাওয়া যেতেই বাসিন্দাদের মনে নানা প্রশ্ন জেগেছে।