কেন্দ্রীয় বাহিনীও গণনাকেন্দ্রের বাইরে মোতায়েন ছিল, তারপরও কীভাবে রাতে ভাঙড়ে গন্ডগোল হল? প্রশ্ন মমতার, পঞ্চায়েত ভোট গণনার রাতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ভাঙড়ে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হয়েছেন পুলিশকর্মীরা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহত হয়েছেন। গতরাতের সেই অশান্তির পর আজ বিকেলে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাঙড়ের অশান্তিতে যে বিরোধী দলেই ইন্ধন ছিল, তাও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিলেন তিনি। প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, রাতের অন্ধকারে বাইরে থেকে’ গুন্ডা’ আনা হয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার জন্য রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীও গণনাকেন্দ্রের বাইরে মোতায়েন ছিল। তারপরও কীভাবে গতরাতে ভাঙড়ে গন্ডগোল হল? প্রশ্ন মমতার।
শুধু ভাঙড়েই নেয়, যেসব জায়গাগুলিতে অশান্তির অভিযোগ উঠেছে… যেমন ডোমকল, সেখানেও যে শাসক দল জেতেনি, তাও মনে করে দেন তৃণমূল নেত্রী। প্রতিটি মৃত্যুই যে দুঃখজনক এবং মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেক পরিবারের প্রতি সমব্যথী, সেকথা মেনে নিয়েও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন এই সব অশান্তির জন্য আসলে বিরোধীদের ইন্ধন রয়েছে। সঙ্গে অবশ্য গতকালের ঘটনা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উদ্দেশে বার্তা দিলেন, যদি তৃণমূলের কাউকেও যদি অন্যায় করার কারণে গ্রেফতার করা হত, তাহলেও তিনি খুশি হতেন।
আরও পড়ুন – বড় ঘোষণা, ভোটে নিহতদের পরিবারের একজনকে চাকরি ও আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
এছাড়াও তৃণমূল নেত্রীর দাবি, শাসক দল জিতছে দেখে হঠাৎ রাতের অন্ধকারে বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে আসা হয়েছিল ভাঙড়ে। আর বোমা আগে থেকেই মজুত করে রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। এলাকার একটি স্কুলে বোমা জড়ো করে রাখা হয়েছিল বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। একইসঙ্গে তিনি এও মনে করিয়ে দেন, গণনার দিন একমাত্র ভাঙড়ের ঘটনা ছাড়া আর কোথাও কোনও ঘটনা ঘটেনি। এদিন বিকেলে নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা ভাঙড়ের গন্ডগোল প্রসঙ্গে বললেন, ‘ভাঙড়ে গন্ডগোল হয়েছে। বিরোধীরা করেছে। আমরা তো ওখানে জিতিনি। আমাদের সিটটা ছিনিয়ে নিয়েছে।’