ভারতের চন্দ্রযান-৩ মিশনে অবদান রয়েছে বাইরের যে দেশগুলির…….

ভারতের চন্দ্রযান-৩ মিশনে অবদান রয়েছে বাইরের যে দেশগুলির…….

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

ভারতের চন্দ্রযান-৩ মিশনে অবদান রয়েছে বাইরের যে দেশগুলির……. ১৪ জুলাই শুক্রবার সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে চন্দ্রযান-৩-এর। এবার একটাই কামনা যেন চন্দ্রপৃষ্ঠে সঠিকভাবে অবতরণ করতে পারে ভারতের তৈরি এই মহাকাশযান। নির্বিঘ্নে যেন শুরু করতে পারে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা কাজ। ২০১৯ সালের স্মৃতির পুনরাবৃত্তি চান না কেউই। সেবার একটুর জন্য় ব্যর্থ হয়েছিল চন্দ্রযান-২ মিশন। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২.১ কিলোমিটার আগে ল্য়ান্ডারটির সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর। চাঁদের পৃষ্ঠে সফল ভাবে অবতরণ করতে পারেনি ল্যান্ডারটি। শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ হয় স্বপ্ন, অধরাই থেকে যায় চাঁদকে ছোঁয়ার ইচ্ছা। সেদিন ভেঙে পড়েছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল দেশবাসীর। তারপর পেরিয়েছে চার বছর। ভুলের থেকে শিক্ষা নিয়ে চন্দ্রযান-৩ মিশনকে সাজিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। শুক্রবারই ছিল মাহেন্দ্রক্ষণ। আকাশের বুক চিরে চাঁদের দিকে উড়ে গিয়েছে চন্দ্রযান-৩। সেই মুহূর্ত গর্বের, আনন্দের। পুরনো ব্যথাকে যেন এক নিমেষে উড়িয়ে দিয়েছে। নতুন স্বপ্নের ঝলকালনিতে চিকচিক করে উঠেছে প্রতি দেশবাসীর চোখ। একটাই চাওয়া এবার যেন সফল হয় ভারতের এই চন্দ্রাভিযান।

 

 

 

 

 

 

 

 

চন্দ্রযান-৩-এর গতিবিধির উপর সবসময় নজর রাখা হবে। বলা ভাল চন্দ্রযান-৩-কে সবসময়ই চোখে চোখে রাখতে হবে। এবিষয়ে ইউরোপিয়ান স্টেশনগুলিকে সাহায্য করবে নাসার ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক ও ইসরোর নিজস্ব স্টেশন। নাসার ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কের একটি অংশ ক্যানবেরা ডিপ স্পেস কমিউনিকেশন ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান-৩-এর থেকে সিগন্যাল পেয়েছে। টুইটে এই সংস্থা জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত ভাল ভাবেই কাজ করছে চন্দ্রযান-৩।৩

 

 

 

 

 

 

চন্দ্রযান-৩ মিশনের নেপথ্যে অবদান রয়েছে বিশ্বের নানা দেশের বিজ্ঞানীদের,অনেকেই হয়তো জানেন না তৃতীয় চন্দ্রাভিযানের জন্য ইসরো বিশ্বের একাধিক দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ইউরোপিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনগুলির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছে। যে কোনও মহাকাশ অভিযানে পৃথিবীর স্পেস স্টেশনের সঙ্গে সঠিকভাবে যোগাযোগ বজার রাখা অত্যন্ত অপরিহার্য। মহাকাশযানটি ঠিকভাবে মহাশূন্য কাজ করছে কিনা, কোথায় এটির অবস্থান রয়েছে, কোনও ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে কি না তা নজর রাখা হয় পৃথিবীর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকেই। যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে গ্রাউন্ড স্টেশনেই পাঠায় মহাকাশযানটি। কোনওরকম গোলমাল হলেই তা কন্ট্রোল করা হয় গ্রাউন্ড স্টেশন থেকেই। আর গ্রাউন্ড স্টেশনের সঙ্গে চন্দ্রযান-৩-এর যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে সঠিকভাবে বজায় থাকে সেবিষয়টা দেখছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ESA)।

 

 

 

 

আরও পড়ুন-  বড় সতর্কতা মৌসম ভবনের, উত্তরাখণ্ডে একদিকে ফুঁসছে গঙ্গা, অন্যদিকে পাহাড়ে ধস, রইলো…

 

 

 

 

দিনরাত পরিশ্রম করে কার্যত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এই মিশনের জন্য পরিশ্রম করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। মিশনের নেপথ্যে রয়েছে শতাধিক কলাকুশলীদের অবদান। তাঁদেরকে কুর্নিশ। তবে জানেন কি এই মিশনের জন্য শুধু ভারতের বিজ্ঞানীরাই নয়, এগিয়ে এসেছে বিশ্বের অন্যান্য দেশ। বাড়িয়ে দিয়েছে সাহায্যের হাত। মিশনের নেপথ্যে তাদের অবদানও রয়েছে যথেষ্ট। তাদেরকেও জানাতে হয় কুর্নিশ।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top