ভাটাপাড়াতে মহিলার জমি আটকে পার্ক পুরসভার! জমি দখলের অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ বৃদ্ধা ,

ভাটাপাড়াতে মহিলার জমি আটকে পার্ক পুরসভার! জমি দখলের অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ বৃদ্ধা ,

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

ভাটাপাড়াতে মহিলার জমি আটকে পার্ক পুরসভার! জমি দখলের অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ বৃদ্ধা , জমিতে ঢোকার রাস্তা আটকে রাতারাতি গড়ে উঠেছে উদ্যান। ভাটপাড়া পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামনগরের গাঙ্গুলি পাড়ায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। মূলাজোড় ভারতচন্দ্র গ্রন্থাগারের ঠিক উল্টোদিকেই পুরসভার উদ্যোগে গড়ে উঠেছে এই উদ্যান। জমির মালিক কাজলি গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিযোগ, জমিতে প্রবেশ ও বেরোনোর পথ আটকে জোর করে পাঁচিল তুলে দিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্যান।

 

 

 

 

 

মহিলার অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ‘ওটা ওঁর জমি নয়। ওটা পুরসভার জমি। ভারতচন্দ্র গ্রন্থাগাররে পাশে একটি আবর্জনা ফেলার ভ্যাট ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগে পাওয়ার পর আমরা সেই ভ্যাট ভেঙে ফেলি। কিন্তু তাসত্ত্বেও সেখানে আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়নি। তারপরই সেখানে সৌন্দর্যয়ানের কাজ করা হয়েছে। ওই ওঁর জমিই নয়, তাই এই কথার কোনও ভিত্তি নেই।’ যদিও অভিযোগ নিয়ে উলটো সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেতা ও ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের গলায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমিও এই ঘটনার কথা শুনলাম। খুবই খারাপ ব্যাপার, আমাদের এখানে আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না। দলের শীর্ষনেতৃত্বের বিষয়টি দেখা উচিত। যদি সত্যিই এমন ঘটনা হয়, তবে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

 

 

 

 

 

জমির মালিকের অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে একাধিকবার গিয়েও সুরাহা মেলেনি। কাজলি দেবীর আরও অভিযোগ, পার্কের পাঁচিল ভাঙার বিনিময়ে ছয় লাখ টাকা দাবি করেছেন স্থানীয় বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। মহিলার আরও অভিযোগ ওই জমি প্রোমোটারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। স্বভাবতই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জমির মালিক ওই বৃদ্ধা। জমির অধিকার ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। যদিও তৃণমূলের একাংশ এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে।

 

 

 

আরও পড়ুন – একুশে জুলাইয়ের আগেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে কুণাল ঘোষ , অসুস্থ তৃণমূলের মুখপাত্র…

 

 

 

অভিযোগকারী মহিলা বলেন, ‘জমিটা আত্মসাৎ করার চেষ্টা হচ্ছে, এটা আমি বুঝতে পেরেছি। সেখানে আমার স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মিলিয়ে মোট ৪ কাঠার উপরে জমি ছিল। আমি এই বাড়িতে থাকি, কর্মসূত্রে ছেলে মেয়ে কলকাতায় থাকে। আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। কিন্তু যাওয়া-আসার জন্য কোনও পথ রাখা হয়নি।’

 

 

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top