ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল মণিপুরে পৌঁছে দেখা করল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির ও রাজ্যপালের সঙ্গেও

ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল মণিপুরে পৌঁছে দেখা করল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির ও রাজ্যপালের সঙ্গেও

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল মণিপুরে পৌঁছে দেখা করল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির ও রাজ্যপালের সঙ্গেও, গোষ্ঠীহিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করল তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল। বুধবার দুপুরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যে গিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা কুকি জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত পাহাড়ি চূড়াচাঁদপুর জেলার পাশাপাশি মেইতেই জনগোষ্ঠী প্রভাবিত ইম্ফল উপত্যকার কয়েকটি ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন এবং কাকলি ঘোষদস্তিদার। সঙ্গে সদ্য-প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেবও।

 

 

 

 

 

 

মণিপুরের প্রায় নব্বই শতাংশ পাহাড়ি জমিতেই কুকি, জ়ো, নাগা-সহ বিভিন্ন জনজাতি গোষ্ঠীর বাস। তাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান। বাকি অংশ অর্থাৎ ইম্ফল উপত্যকায় মূলত রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেইরা থাকেন। অভিযোগ উঠেছে, মায়ানমার থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের অরণ্যে নতুন জনবসতি গড়ে তুলছেন জনজাতি কুকিরা। এর ফলে আগামী দিনে তাঁদের জমি বেদখল হওয়ার আশঙ্কা করছেন মেইতেইরা। শুধু তা-ই নয়, এই অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে মায়ানমারের মাদক চক্রগুলিকে কাঁচামাল জোগানেরও অভিযোগ তুলেছে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের সরকার। ফলে, বিবিধ জনজাতির মধ্যে জনসংখ্যাগত ভারসাম্য বদল এবং সম্পদ বণ্টন ঘিরে মতবিরোধের জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে মণিপুর।

 

 

 

 

আরও পড়ুন – বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠক চলাকালীন বেরিয়ে আসেন নীতীশ কুমার, জোটের ‘ইন্ডিয়া’ নামে…

 

 

বুধবার সকালে মণিপুর রওনা তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বাধীন দলে রয়েছেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন এবং কাকলি ঘোষদস্তিদার। রাজ্যসভার সদ্য-প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেবও রয়েছেন ওই দলে। মণিপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সব পক্ষের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের অভিজ্ঞতা জানবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তার পর রিপোর্ট আকারে তা তুলে দেওয়া হবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। প্রতিনিধি দলের অন্যতম সুস্মিতা বলেন, ‘‘ত্রাণশিবির গুলিতে বেশ কিছু অব্যবস্থা আমাদের নজরে এসেছে। বিশেষত, হিংসায় ঘরছাড়া পরিবারগুলির শিশুরা খুবই কষ্টে রয়েছে। আমরা সব পক্ষের সঙ্গেই কথা বলব। কোনও বিতর্ক চাইছি না।’’

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top