নিজস্ব সংবাদদাতা,মালদা, ১৭ই ডিসেম্বর :নিঃসন্তান মহিলাদের সন্তান হওয়ার চিকিৎসার নামে যৌন লালসার শিকার গ্রামের মহিলা। আর চিকিৎসার নামে ভন্ডামি পর্দা ফাঁস করলো মহিলা। ঘটনাটি জানতে পেরে ওই চিকিৎসকে উত্তম মধ্যম মারধর শুরু করে গ্রামের উত্তেজিত জনতা। মালদার মানিকচকের নাজিরপুর তিন ঘরিয়ায় ফনি মন্ডলের বাড়িতে জমে উঠেছিল ভূয়ো কবিরাজি চিকিৎসা কেন্দ্র।
জানা গিয়েছে,শিলিগুড়ি থেকে আগত জিনের কবিরাজ জিতেন মন্ডল দ্বারা কবিরাজি চিকিৎসা করা হয় এমনই ছিল বিজ্ঞাপন। অশিক্ষিত দরিদ্র সীমার নিচে পরিবার ভুক্ত তিন ঘরিয়া গ্রামে বেশ জমে উঠেছিল ব্যবসা। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই এই চিকিৎসা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মহিলা মহলে বেশ সারা ফেলে ছিল। আর রবিবার ফাঁস হল এই চিকিৎসা কেন্দ্রের আসল মুখোশ। বেরিয়ে এলো ভন্ড চিকিৎসক এর আসল চেহারা। চিকিৎসা কেন্দ্রটিতে গ্রামেরই এক গৃহবধূ চিকিৎসা করাতে যান। এরপরই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় গৃহবধূর।
গৃহবধূ জানান চিকিৎসা কেন্দ্র নয়। যৌন লালসার আখড়া এটি। রবিবার সকালে এই নিঃসন্তান গৃহবধূ সন্তান লাভের আশায় চিকিৎসা করাতে গেলে ওই কবিরাজ তাকে চিকিৎসার নামে কুপ্রস্তাব দেয় । গৃহবধূ ঘটনাটি তার পরিবারকে জানায়। এরপর ওই কবিরাজকে চেপে ধরে এলাকার মানুষজন। সাধারণ মানুষজন চেপে ধরতেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য ।এই ভন্ড কবিরাজ জিতেন মন্ডল আসলে শিলিগুড়ির বাসিন্দা নযয়। তিনি মালদা বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকার মানুষজন ভিড় জমাতে থাকে ওই চিকিৎসা কেন্দ্রে। ভন্ড কবিরাজকে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা। ভন্ড কবিরাজের আসল রূপ দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। চলে উত্তম মধ্যম মারধর।ঘটনার অভিযোগ জানানো হয় মানিকচক থানায়। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে কবিরাজী চিকিৎসক জিতেন মন্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিঃসন্তান গৃহবধূদের এমনভাবে সন্তান সম্ভবনার প্রলোভনের ফাঁদ দিয়ে যৌনতার ব্যবসা করাত এই জিতেন মন্ডল বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন গৃহবধূ এই কবিরাজের যৌন লালসার শিকার হয়েছেন। গৃহবধূ ও তার পরিবার সহ গ্রামবাসী এমন প্রতারকের কঠোর শাস্তির দাবী তুলেছেন।