ইডি-র চাওয়া নথি ‘উধাও’, বিপাকে একাধিক পুরসভা ও পুর নগরোন্নয়ন দফতর

ইডি-র চাওয়া নথি ‘উধাও’, বিপাকে একাধিক পুরসভা ও পুর নগরোন্নয়ন দফতর

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
আদালতের নির্দেশে কালীঘাটের কাকুর গলার নমুনা সংগ্রহের জন্য এসএসকেএমে চিঠি ইডির

ইডি-র চাওয়া নথি ‘উধাও’, বিপাকে একাধিক পুরসভা ও পুর নগরোন্নয়ন দফতর , পুরনিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবার ওএমআর শিট চেয়েছে। যার জেরে একাধিক পুরসভা ও পুর নগরোন্নয়ন দফতর বিপাকে পড়েছে। কারণ অনেক পুরসভা থেকেই নিয়োগ সংক্রান্ত নথি উধাও হয়ে গিয়েছে। ফলে চাপে রয়েছে একাধিক পুরসভা কর্তৃপক্ষ। বিপাকে পড়তে চলেছে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনও। ওএমআর শিট ‘উধাও’ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়েছে চাপানউতোর। আদৌ তা কী ছিল, সেটা নিয়েই বর্তমানে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, আদৌ কী পরীক্ষা হয়েছিল, নাকি আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে পুরসভাগুলিতে কর্মীরা নিযুক্ত হয়েছিলেন, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। স্বাভাবিকভাবেই নিয়োগের ছত্রে ছত্রে যে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তাকে আরও জোরাল করেছে ওএমআর শিট ‘উধাও’কাণ্ড। সেক্ষেত্রে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে, যে ওএমআর শিট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ।

 

 

 

 

 

 

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মাস দুয়েক আগে আলিপুরে সিবিআই বিশেষ আদালতে পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। এর পরে উত্তর ২৪ পরগনা-সহ অন্যান্য জেলায় মোট ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালান তাঁরা। ওই সব পুরসভা থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।

তদন্তকারীদের দাবি, মূলত ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে প্রায় ৭০টির বেশি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। ফিরহাদ হাকিমও দফতরের কর্তাদের দিয়ে তদন্ত চালিয়েছেন। ইডি মনে করছে, অয়ন শীলের সংস্থা যে সব উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করেছে, সে সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। ইডি- র পাশাপাশি এই তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই’ও।

সম্প্রতি পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০১৪ ও ২০১৭ সালের পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথি নগরোন্নয়ন দফতর ও মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের কাছে তলব করা হয়েছে। ওই সব নথিও ইডির হাতে এসেছে। সেগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

 

 

 

 

আরও পড়ুন –  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নিরাপত্তা উপদেষ্টা হলেন এক প্রাক্তন সিবিআই কর্তা

 

 

 

 

 

সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দফতরের শীর্ষ কর্তারা। কোথা থেকে ওএমআর শিটগুলির জোগাড় হবে, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলিও চিন্তায় পড়েছে। সূত্রের খবর, পুর নিয়োগ ধৃত অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোন প্রাইভেট লিমিটেডের উপরই দোষ চাপিয়ে নিজেদের বক্তব্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে পেশ করতে চলেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। কারণ যেক’টি পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, সেখানে সবকটিতেই অয়ন শীলের সংস্থা তৃতীয় সংস্থা হিসাবে কর্মী নিয়োগের কাজে যুক্ত ছিল। এক্ষেত্রে অনেক পুরকর্তাকেই সমস্যায় পড়তে হবে বলে ইডি সূত্রে খবর। বিপদ আঁচ করতে পেরেছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের শীর্ষকর্তারা। যে সময়ের নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, সেই সময়ের যাবতীয় পরীক্ষার নথিপত্র জোগাড় করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন পুরকর্তারা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top