‘মমতাকে সহ্য করতে পারছেন না অনেকে…’,অপর্ণাদের খোলা চিঠির পালটা জবাব তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবীদের

‘মমতাকে সহ্য করতে পারছেন না অনেকে…’,অপর্ণাদের খোলা চিঠির পালটা জবাব তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবীদের , পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত রাজ্যের বুদ্ধিজীবী সমাজ। অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন সহ বিদ্বজ্জনদের খোলা চিঠির পালটা জবাবে প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবীদের। সেই বৈঠক থেকেই প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কবীর সুমন বলেন, ‘মমতাকে সহ্য করতে পারছেন না অনেকেই। তার নিশ্চয় কারণ আছে। পঞ্চায়েত ভোটে গোলমাল তো হবেই।’

 

 

 

 

 

 

 

মনোনয়ন থেকে নির্বাচন, এমনকী গণনার আগে পরে বাংলায় একের পর এক হিংসা, অশান্তির অভিযোগ। রাজ্যের এই পরিস্থিতি নিয়েই সরব হন বিশিষ্টদের একাংশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে খোলা চিঠি লেখেন জাস্টিস অশোক গঙ্গোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন থেকে অনির্বাণ ভট্টাচার্য, ঝুলন ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকে। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্দেশ্য করে লেখা হয়, ‘৮ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ৩৭ দিনে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৫২ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এই দায়িত্ব আপনি কোনও ভাবেই অস্বীকার করতে পারেন না…।’

 

 

 

 

 

 

ভোট সন্ত্রাস প্রসঙ্গে কবীর সুমন বলেন, ‘আমি আসলে কাগজ পড়ি না বা টিভি দেখি না। কিন্তু ২১ জুলাই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনছিলাম। ওখানে না শুনলে জানতামও না। পঞ্চায়েত ভোটে সবথেকে বেশি তৃণমূলের কর্মীরাই মারা গিয়েছেন।’ বিদগ্ধ অপর্ণাদের সপাট জবাব দিয়ে তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবীদের পাশে বসে বলেন, ‘সাদা থানের কথা আমরা কেউ ভুলিনি? বলতেই পারেন এই পরিবর্তন চাইনি, কিন্তু কী চেয়েছিলেন? কী চেয়েছিলেন সেটা তো স্পষ্ট করে বলুন। আমি চাই ৩ হাজার বছর মমতা ক্ষমতায় থাকুন।’

 

 

 

 

 

আরও পড়ুন – ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায় আনার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর,

 

 

 

 

চিঠির পালটা জবাবে এক হয়েছিলেন তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবীরা। কবীর সুমনের সঙ্গে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আবুল বাশার, যোগেন চৌধুরী, নাট্যকার অর্পিতা ঘোষ সহ আরও অনেকে। তাদের তরফে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে কবীর সুমনের মন্তব্য, ‘কে এখানে আগে কি বলেছে আমি জানি না। পুরো ব্যাপারটা এখন মেরুকরণ হয়েছে গিয়েছে। মমতা যেহেতু হিন্দু মুসলিম মানেন না। তাই অনেকে সহ্য করছে পারছেন না। যেদিন থেকে বোধ বুদ্ধি হয়েছে, দেখছি নল দিয়ে ভোট হয়। ভোটে তো গোলমাল হবেই। কারণ পঞ্চায়েত ভোট হয়ে যায় না, করাতে হয়।’ এখানেই শেষ নয়, তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ বলেন, ‘এখন সকলের হাতে মুঠোফোন। রিকশাওয়ালা থেকে আপনার আমার। ফলে মুহূর্তের মধ্যে চলে যাচ্ছে খবর। যদিও যাওয়ার মতোই খবর। কিন্তু শুধুই কি নেভেটিভ খবর! গঠনমূলক কাজকেও তো তুলে ধরতে হবে।’