ডায়মন্ড হারবার থেকে কাকদ্বীপ নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ সর্বত্রই মৎস্যজীবীদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। বাঙালি খাদ্য রসিকদের জন্য সুখবর। বাজারে এসেছে প্রচুর পরিমানে ইলিশ মাছ। বৃহস্পতিবার কলকাতা শহর ও শহরতলির বাজার ছেয়ে গিয়েছে ইলিশ মাছে। এদিন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ দোকানেই দেখা মিলেছে ইলিশের। তবে খুব বড় সাইজের না হলেও ছোট ও মাঝারি মাপের ইলিশে ছেয়ে গিয়েছে বাজার। যদিও বড় ইলিশ মিলছে কমই। আমদানি ভালো হওয়ায় দামও নাগালের মধ্যে রয়েছে ইলিশের। কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা, সাগর, রায়দিঘি, ডায়মন্ড হারবারের মৎস্যবন্দরগুলিতে এখন তুমুল ব্যস্ততা। বর্ষার শুরু থেকেই ইলিশের দাম কমার অপেক্ষায় থাকেন সবাই। দাম হাতের নাগালে এলেই মোটামুটি ভালো মাছ পাতে তুলতে পারবেন সকলে।
শুধু দিঘা নয়, এখন বকখালি, কাকদ্বীপ, নামখানা, ডায়মন্ড হারবারেও উঠছে প্রচুর পরিমানে ইলিশ। এর ফলে কলকাতা সহ বাংলার খুচরো ও পাইকারি দোকানে পর্যাপ্ত পরিমানে আসছে এই মাছ। এই কারণে দামও বেশ খানিকটা কম, সূত্রের খবর। গত ৭ থেকে ১০ দিনে প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে ইলিশের দাম।
এক মৎস্যজীবী এই বিষয়ে বলেন, ‘কয়েক বছরের খরা এই বছর কেটেছে। ইলিশের দেখা মিলেছে সমুদ্রে। ঝাঁকে-ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে মৎস্যজীবীদের জালে। আমাদের মনে হচ্ছে, আগামী একমাস একইভাবে ইলিশ পাওয়া যাবে সমুদ্রে। সেই সঙ্গে বৃষ্টিতে আরও ভালো মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এবার সস্তায় ইলিশ পেতে চলেছেন সবাই’। তিনি আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে শেষবার ভাল ইলিশ পাওয়া গিয়েছিল। তারপর থেকে টানা ইলিশের খরা চলছিলই। অনেক ট্রলার মালিক বড় ক্ষতির মুখোমুখি হয়ে এই ব্যবসা থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেন। আর্থিক দুর্দশার মধ্যে দিন কাটছিল মৎস্যজীবীদের। এই রাজ্যের অনেক মৎস্যজীবী ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু এই বছর এত ইলিশ আসছে যে সব দুর্দশা কেটে গিয়েছে’। পাইকারি বাজারে ইলিশের দাম দাঁড়িয়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। ভোজন রসিকদের কাছে এটি এক বড় সুখবর।
আরও পড়ুন – দিঘায় এই কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য ১২ কোটি টাকা খরচ ,সৈকত শহরের..
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ট্রলার ভর্তি ইলিশ নিয়ে ফিরছেন মৎস্যজীবীরা। সেই ইলিশ ঘাট থেকেই চলে যাচ্ছে ডায়মন্ড হারবারের মাছের আড়তে। আড়তে নিলামের পর ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে। এবার ইলিশের সাইজও বেশ ভাল বলে জানাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। সঙ্গে বৃষ্টির জলে মাছের স্বাদও বেড়েছে। দামও আগামী দিনে আরও কিছুটা কমবে বলে মত আড়ত মালিক থেকে মৎস্যজীবীদের। অতিরিক্ত উৎপাদনের ফলেই ফের দাম কমার সম্ভাবনা জেগেছে।