খারিজ জামিনের আবেদন, SSKM-এই থাকতে হবে ‘কালীঘাটের কাকুকে’, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু গত ১১ দিন ধরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। হার্টে ব্লকেজ ধরা পড়েছে সুজয় ভদ্রের। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। কিন্তু সেই অস্ত্রোপচার কোথায় হবে, তা নিয়ে দিনভর ধোঁয়াশা। সুজয়ের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, পছন্দমতো হাসপাতালে তাঁকে অস্ত্রোপচার করাতে দেওয়া হোক। এসএসকেএম-নিয়ে আপত্তির কথা সরাসরি না বললেও আজ আদালতে ঠারেঠোরে সেকথা বুঝিয়ে দিয়েছেন সুজয় ভদ্রর আইনজীবী। আর এই পছন্দমতো জায়গায় চিকিৎসা করানোর জন্য যাতে জামিন কিংবা অন্তর্বতী জামিন দেওয়া হয়, সেই আর্জিও জানানো হয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত ধোপে টিকল না সেই আবেদন। সুজয়কৃ্ষ্ণ ভদ্রের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ফলে এসএসকেএম হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে।
উল্লেখ্য, আজ আদালতের শুনানিতেও ইডির তরফে এসএসকেএম হাসপাতালের উৎকর্ষ মান তুলে ধরা হয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও কখনও কোনও সমস্যা হলে, এসএসকেএম হাসপাতালের উপরেও যে ভরসা রাখেন, সেই কথাও তুলে ধরেন ইডির আইনজীবী। তবে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, তাঁর মক্কেল বিদেশে যেতে চান না। তিনি দেশের মধ্যেই পছন্দমতো হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করাতে চান এবং সেই কারণে জামিনের আর্জি করেছিলেন কালীঘাটের কাকুর আইনজীবী। শেষ পর্যন্ত সুজয়ের আইনজীবীর সেই আর্জি ধোপে টিকল না। খারিজ হয়ে গেল জামিনের আবেদন।
আরও পড়ুন – মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়? কতটা প্রভাবশালী পার্থ? আদালতে কি জানালো ED?
বিচারক তাঁর নির্দেশনামায় লিখেছেন, মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি প্রায় হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া এমন ঝুঁকিপূর্ণ শারীরিক অবস্থায় তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তর করতে গেলে বিপদ বাড়ার আশঙ্কা থাকে। রাজ্যের মন্ত্রিসভার হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিরাও যে কিছু প্রয়োজন পড়লেই এসএসকেএম হাসপাতালে যান সেই কথাও উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশনামায়। বিচারক লিখেছেন, এসএসকেএম হল রাজ্যের সেরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। রাজ্য মন্ত্রিসভার হাই প্রোফাইল ব্যক্তিরা জরুরি কোনও প্রয়োজন হলে এসএসকেএম হাসপাতালেই যান। এসএসকেএম হাসপাতালে সেরা পরিকাঠামো ও চিকিৎসক রয়েছেন।’