একদিনেই হলদিয়াতে বাজ পড়ে প্রাণ গেল ৪ জনের, প্রবল বর্ষণ চলছে গোটা রাজ্যে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে একাধিক জেলায়। জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। এরইমধ্যে শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু হল চারজনের। মঙ্গলবার বিকালে ঝড়-জলের মধ্যেই চাষের জমিতে মাছ ধরার ঘুনি পাততে গিয়েছিলেন সুটাহাটার হোড়খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেগুনাবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রাধারানি ভৌমিক (৫৪)। সেখানেই আচমকা তাঁর মাথায় বাজ (Thunderstorm) পড়ে বলে খবর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ইতিমধ্য়েই সমুদ্র তীরবর্তী বা উপকূলবর্তী এলাকায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুতাহাটা থানার অন্তর্গত হলদিয়া পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডেও বজ্রাঘাতে এক মহিলার মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতার নাম মামনি মালী (৪০)। থাকতেন কশবেড়িয়া গ্রামে। তাঁর আদি বাড়ি সুতাহাটা ব্লকের কৃষ্ণনগর গ্ৰামে। সূত্রের খবর, এদিন পুকুরে বাসন ধুতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই তুমুল বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে পুকুরের পাশেই একটি নারকেল গাছের নীচে আশ্রয় নেন তিনি। তখনই আচমকা জোরালে শব্দে বাজ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। এদিকে অতি ভারী বৃষ্টির জন্য নবান্ন থেকে জেলাগুলিকে দেওয়া হয়েছে সতর্কবার্তা। বিশেষ করে যে জেলাগুলিতে অতি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে সেখানকার স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়ছে। একইসঙ্গে সমুদ্র তীরবর্তী বা উপকূলবর্তী এলাকায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন – ২০২৪ সালের আইপিএল কি বিদেশে হবে?
অন্যদিকে এদিনই আবার হলদিয়ার ভবানীপুর থানার অন্তর্গত হলদিয়া ব্লকের বড়বাড়ি গ্ৰামে জমিতে চাষ করতে করতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না দুই চাষির। বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল সমরেশ বেরা (৪০) ও পিন্টু বেরার (৪৫)। আহত হয়েছেন গুরুপদ বেরা নামে আরও একজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
(সব খবর , ঠিক খবর , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube )