দিল্লিতে জারি সতর্কবার্তা! ডেঙ্গির প্রকোপ ক্রমশই বাড়ছে, এবার খোঁজ মিলল বিপজ্জনক এক স্ট্রেনের। টানা ভারী বৃষ্টি এবং হরিয়ানার বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় বিপর্যয় পরিস্থিতি তৈরি হয় দিল্লিতে। প্লাবন পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমসিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। তার মধ্যে দোসর হল ডেঙ্গি। রাজধানীতে ডেঙ্গির বিপজ্জনক স্ট্রেনের সন্ধান মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে বলে করা হয়েছে আশঙ্কা। প্লাবন পরিস্থিতির জেরে দিল্লি এবং তার আশপাশ অঞ্চলের বেশ কয়েকটি স্থানে ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যায় রাশ টানা না গেলে, নতুন স্ট্রেনের প্রভাবে আগামী দিনে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
চিকিৎসকদের মত যে কারও যদি আগে ডেঙ্গি হয়ে থাকে, তাকে আরও বেশি করে সতর্ক থাকতে হবে। তবে, যাদের একাধিকবার ডেঙ্গি হয়েছে, তাঁদের নতুন করে চিন্তা করার দরকার নেই বলে জানান তাঁরা। একাধিকবার আক্রান্তদের শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কয়েকদিন আগে কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল রাজধানীতে। প্রতিদিন গড়ে ১০০-র বেশি রোগী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসছেন বলে জানিয়েছিলেন রাজধানীর এইমস কর্তারা। এবার হদিস মিলল ডেঙ্গির বিপজ্জনক স্ট্রেনের।
আরও পড়ুন – প্রেম-ভালবাসা করে বিয়ে করার আগে বাবা-মায়ের সম্মতি বাধ্যতামূলক করা যায় কি না…
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গির Den-1 এবং Den-3 স্ট্রেনগুলি লক্ষণ হাল্কা। Den-4 দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি অংশ দেখতে পাওয়া যায়। দিল্লিতে পাওয়া Den-2 স্ট্রেনের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, জয়েন্টে ব্যথা, চোখের নিচে ব্যথা, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, চুলকানি এবং পেশিতে ব্যথা। এই লক্ষণগুলো কিছুটা চিকুনগুনিয়ার মতো বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই লক্ষণগুলি দেখা গেলে, সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পরীক্ষা এবং চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য দেওয়া হয়েছে পরামর্শ। Den-2 স্ট্রেনের প্রভাবে রক্তক্ষরণজনিত জ্বর হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে। এই অবস্থায় প্লেটলেটের ঘাটতি দেখা যায়। এতে শরীরে ভিতরে ও বাইরে রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায় বলে জানিয়েছেন তারা। এরই পাশাপাশি নাক, মারি, বমি এবং মল দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। সেই সঙ্গে ত্বকের নীচে ফুসকুড়িও দেখা যায়। এতে রোগী শক সিনড্রোমে চলে যায় বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।