জলাশয়ে কোনও ক্লাবের তরফে আবর্জনা ফেললে পরিষ্কারের খরচ দেবে ক্লাবই, নির্দেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। যদি জলাশয়ে কোনও ক্লাবের তরফে আবর্জনা ফেলা হয়, তাহলে সেটা পরিষ্কার করার খরচ দিতে হবে ক্লাবকেই। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। বারুইপুরের একটি জলাশয় ময়লা ফেলে বুজিয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছিল আদালতে। সেই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির। তাঁর পর্যবেক্ষণ, জলাশয়ের একটা অংশ যে ময়লা ফেলে বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের ৪ নম্বর প্লাটফর্মের কাছে থাকা যে জলাশয় নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল, সেই জলাশয় অবিলম্বে পরিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ক্লাব বা যে কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যদি জলাশয়ে ময়লা ফেলার জন্য দায়ী হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে পারেন জেলাশাসক। জঞ্জাল পরিষ্কারের খরচও তাদের কাছ থেকেই চাওয়া হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় মূল অভিযোগ ছিল, বারুইপুর প্লাটফর্ম সংলগ্ন প্রায় ৩০ বিঘা জলাশয় চক্রান্ত করে বুজিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রগতি সঙ্ঘ ক্লাব। আর তাতে বারুইপুর পুরসভা সাহায্য করছে বলেও অভিযোগ করা হয়। এই মর্মে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
আরও পড়ুন – দিল্লিতে জারি সতর্কবার্তা! ডেঙ্গির প্রকোপ ক্রমশই বাড়ছে, এবার খোঁজ মিলল বিপজ্জনক এক…
ওই জলাশয়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য ৩ সপ্তাহ সময় দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু জলাশয় নয়, তার আশপাশের এলাকাও আবর্জনামুক্ত করতে ২ মাস সময় দেওয়া হয়েছে। দ্রুত যাতে পরিষ্কার করার কাজ হয়, সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইস্টার্ন রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারের প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের প্রতিনিধি, বারুইপুরের বিডিও, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিনিধি এবং স্থানীয় পুরসভার প্রতিনিধিদের। যৌথভাবে জলাশয়ের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।