৫ অগাস্ট পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত, অশান্তি ঠেকাতে বড় সিদ্ধান্ত হরিয়ানায়, হরিয়ানার নুহ-তে একটি শোভাযাত্রাকে ঘিরে দুই গোষ্ঠীর হিংসার ঘটনার পর পরিস্থিতি এখনও আয়ত্তে আসে নি। হিংসার রেশ রাজ্যের আরও বেশ কয়েকটি স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর। এ হেন পরিস্থিতিতে ইন্টারনেটের উপর জারি করা নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৫ অগাস্ট পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। গত ৩১ জুলাই নুহ-তে এক ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে ঘিরে হিংসার ঘটনার সূত্রপাত। শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ইন্টারনেট পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে বুধবার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়।
এর আগে গত সোমবার বিকেল চারটা থেকে ২ অগাস্ট পর্যন্ত নুহ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক না হওয়ায় নুহ, ফরিদাবাদ, পালওয়াল এবং সোহানায় নতুন করে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল। গুরুগ্রামের মানেসার এলাকায়ও ইন্টারনেটের উপর নিষেদাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
গুরুগ্রামে হিংসার ঘটনা জারি থাকায়, কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রের কাছে আরও চার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হরিয়ানায় ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে নুহ-তে ১৪, পালওয়ালে ৩, গুরুগ্রামে ২ এবং ফরিদাবাদে ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত হিংসা রেশ না টানতে পারার জন্য রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা ব্যর্থতার অভিযোগ করেন তিনি। সময় মতো ব্যবস্থা নিলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না বলে দাবি করেন। সেই সঙ্গে গুজবে কান না দেওয়ার এবং জনগণের কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান হুডা। এদিকে, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হিংসার মধ্যে পড়ে একজন অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এবং তাঁর তিন বছরে কন্যা অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বলে খবর। তাঁদের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন – অসমে বাংলার শিক্ষা দুর্নীতির আঁচ! তদন্তের নির্দেশ দিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা,
জানা গেছে, হিংসা বিধ্বস্ত নুহ এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালের দিকে কারফিউ কয়েক ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়। পরে আগাম সতর্কতা হিসেবে ফের কারফিউ বলবৎ করা হয়েছে। এদিকে, সোমবারে পর বুধবার রাতে বেশ কয়েকটি স্থানে হিংসা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে হরিয়ানার পুলিশ। দু’টি স্থানে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের মতো ঘটনা ঘটে।